লোকসভা ভোটে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেস্তে গিয়েছে আইএসএফের। যার দায় সিপিএমের উপর চাপিয়েছে ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। অন্যদিকে, আসন সমঝোতা না হওয়ায় জন্য আইএসএফ-কেই দায়ী করেছে বামেরা। সেই জায়গা থেকে আইএসএফ সীমিত ক্ষমতা নিয়ে একলা চলার নীতি নিয়েছে। বামেরাও আইএসএফ-কে ছাড়াই নিজেদের মত প্রার্থী ঘোষণা করছে। বিষয়টি নিয়ে ফের নওশাদ সিদ্দিকি ও আইএসএফের পাশে দাঁড়িয়ে বাম, কংগ্রেস, বিজেপিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

নওশাদের ডায়মন্ড হারবারের না দাঁড়ানোকেও পরোক্ষে সমর্থন করেছেন কুণাল। আসলে বাম, কংগ্রেস, বিজেপি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে নওশাদকে বলির পাঁঠা করতে চেয়েছিল। এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, মহম্মদ সেলিম নিজে না দাঁড়িয়ে প্রতিকুরের মতো একটা বাচ্চা ছেলেকে অভিষেকের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিলেন। আসলে উনি জানেন ডায়মন্ড হারবারের অভিষেক ৪-৫ লাখ ভোটে জিতবে। কেন অধীর চৌধুরী বা কংগ্রেসের কোনও বড় নেতাযে দাঁড় করালেন না ডায়মন্ড হারবারে? ২৪ ঘণ্টা, সকাল সন্ধ্যা, যিনি অভিষেকের সমালোচনা করে, সেই শুভেন্দু অধিকারী ক্ষমতা থাকলে দাঁড়ান ডায়মন্ড হারবার থেকে।

কুণালের সংযোজন, নওশাদ তৃণমূলের বিরোধী। ও তৃণমূলকে আক্রমন করলে তার সমুচিত ।জবাব দেওয়া হবে। রাজনৈতিক মত পার্থক্য আছে। কিন্তু তরুণ নেতা। একটা নতুন দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, সে বুঝেছে ডায়মন্ড হারবারের অভিষেক ৪-৫ লক্ষ ভোটে জিতবে। কিন্তু যারা ভোট কাটাকাটির অঙ্ক খেলতে নওশাদকে ঠেলে দিছিলেন, তাঁরা কেন দাঁড়ালেন না?
