রাজ্যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রতি জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। জেলাস্তরে কন্ট্রোল রুমের (Control Room) সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই এক জন অতিরিক্ত নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। শনিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে সব জেলাশাসক তথা জেলার নির্বাচনী আধিকারিককে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ৬ এপ্রিল দুই বিশেষ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ঠিক করা হয়েছিল, জেলা স্তরে এক জন নোডাল অফিসারকে নিযুক্ত করা হবে, যিনি জেলায় জেলায় সব ক’টি কন্ট্রোল রুমের মধ্যে যোগসূত্র বজায় রাখবেন। এই নোটিশ ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা তথা রাজ্যের নোডাল পুলিশ অফিসার আনন্দ কুমার এবং রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমন্বয়কারী বা কোঅর্ডিনেটর, আইজি সিআরপিএফ বি কে শর্মাকেও পাঠানো হয়েছে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোট হবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে। কমিশন সূত্রের খবর, প্রথম দফায় প্রতিটি বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
ইতিমধ্যেই প্রথম দফার আগে রাজ্যে এসেছে পৌঁছেছে ২৭৭ কোম্পানি। যার মধ্যে ২৬৩ কোম্পানি ব্যবহার করা হবে প্রথম দফায়। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট তিনটি কেন্দ্রে বাহিনীর রুটমার্চও শুরু হয়ে গেছে। কমিশন (Election Commission) সূত্রের খবর, ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে রাজ্যে এসে পৌঁছবে আরও ২০ থেকে ২৫ কোম্পানি বাহিনী। বাহিনীর পাশাপাশি ভোটের কাজে লাগানো হচ্ছে রাজ্য পুলিশও। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ১০ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হতে পারে প্রথম দফার ভোটে। শুধু তাই নয়, এবারেই প্রথম রাজ্যের সব বুথে ওয়েব কাস্টিং হবে। এর আগে ৫০ শতাংশ বুথে ওয়েব কাস্টিং ছিল। এর ফলে যেখানে নেটের সমস্যা হবে, সেখানে সব তথ্য রেকর্ড হয়ে থাকবে। পরে তা দেখা যাবে। প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের ওই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে ৫,৮১৪ টি বুথ রয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর, সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
