বাংলায় বিজেপি (BJP) কিছু করে উঠতে পারে না, কারণ সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মালদহ উত্তরের গাজোলের জনসভায়, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Prasun Banerjee) সমর্থনে গাজোল মহাবিদ্যালয়ের মাঠে সভামঞ্চ থেকে বিজেপিকে নিশানা করে খগেন মুর্মুর (Khagen Murmu) কাছে জবাবদিহি চাইতে বলেন মমতা। তাঁর কথায় যে সাংসদ ৫ বছর ধরে বিজেপির টিকিটে জিতে লোকসভায় গেলেন তিনি, কী কাজ করেছেন? কেন তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র? শুধু তাই নয়, মমতা বলেন দেশে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে বিজেপি, তাই মাছ মাংস বন্ধ করে দিতে চাইছে। রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, উত্তপ্রদেশে নিয়ম চালু করেছে। কিন্তু বাংলায় এসব করতে পারে না। কারণ ‘এখানে আমি আছি। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো। এদিন ফের শ্বেতপত্র প্রকাশ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মমতা।

গরমের দাবদাহকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমোর সভায় ভিড় উপচে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি মিথ্যে কথা বলে স্যোশাল মিডিয়ায় ভুল সার্ভে প্রচার করছে। গেরুয়া সরকার সোটা দেশকে গণতন্ত্রের কারাগার করে দিয়েছে। তাই এই বিজেপিকে একটাও ভোট নয়। ইন্ডিয়া জোটের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি ভাই-ভাই, তাই তৃণমূল লড়ছে একাই। আবাসে বঞ্চনা থেকে দেশ বেচে দেওয়া গেরুয়া রাজনীতিকে একহাত নেন মমতা। স্পষ্ট বলেন এজেন্সি দিয়ে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না। যত বেশি সংখ্যায় তৃণমূল নেতা লোকসভায় যাবেন ততই বাংলার প্রাপ্য আদায়ে সুবিধা হবে। মমতা বলেন, আমরা আগুন। ছুঁয়ে দেখুক একবার। বাংলা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যানে। তাইতো এত আক্রোশ। সিপিএম কংগ্রেসের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন বিজেপি ওদের ব্যবহার করছে যাতে ভোট কাঁটা যায়। তাই সেই প্ররোচনায় পা দেবেন না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বলেই মহুয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দিল্লির নেতাদের অঙ্গুলি হিলনে কখনও অভিষেকের নেতৃত্বে রাজধানীতে শান্তিপূর্ণ ধর্নায় নেমে এসেছে বিজেপির নির্লজ্জ কোপ, আবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে সিয়ে ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেনদের উপর আক্রমণ হেনেছে পুলিশ। মমতা এদিন সভামঞ্চ থেকে প্রশ্ন করেন কেন বিজেপিকে ভোট দেবেন? এরপরই খগেন মুর্মুর কাছে কাজের হিসেব চাওয়ার কথা বলেন দলনেত্রী। তিনি জানান বাংলায় কর্মশ্রী প্রকল্প ৫০ দিনের কাজের গ্যারান্টি নিশ্চিত করেছে। শুধু তাই নয়, যে টাকা কেন্দ্রের দেওয়ার কথা চলতি বছরের মধ্যেই আবাসের ৬০ লক্ষ টাকা রাজ্য দেবে বলে জানান মমতা। পাশাপাশি মালদহের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখানকার বিমানবন্দরের আরও বড় করা হবে। মালদহের বিখ্যাত আমের প্রসার বাড়াতে এবং ফলনের দিকে নজর দিয়ে বিশেষ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। যা হয়েছে সবই তৃণমূলের আমলে হয়েছে। আর CPM-কংগ্রেস যৌথভাবে শুধু হিংসার রাজনীতি করেছে আর বিজেপি সরকার জমিদারি রাজত্ব চালাচ্ছে। মোদি সরকারকে ‘কেয়ারটেকার সরকার বলে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, লোকসভা নির্বাচনেই বিজেপির বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে।
