দ্বিতীয় দফার ভোটে শুরু থেকেই বালুরঘাটে প্রবল চাপের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। সাতসকালেই তপনের পতিরামের একটি বুথে গিয়ে “গো ব্যাক” স্লোগান শুনে মেজাজ হারিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এখানেই শেষ, এবার গঙ্গারামপুরে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে দেখে “গো ব্যাক” স্লোগান উঠল।

গঙ্গারামপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্র নারায়নপুর কলোনির ৪৮ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরই সুকান্ত মজুমদার বুথে ঢোকার মুখে তৃণমূল-কর্মী সমর্থকরা তাঁকে দেখে “গো ব্যাক” স্লোগান দিতে থাকে। এই ঘটনার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত মজুমদার।

চলতি লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে চলছে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ। সকলের নজর দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। কার্যত হেভিওয়েট কেন্দ্রে। লড়াইয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের মন্ত্রী তৃণমূলের বিপ্লব মিত্র। সকাল থেকেই এই কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষপাতিত্ব ও ইভিএম নিয়ে অভিযোগ করে আসছে তৃণমূল। তবে হারের গন্ধটা পেয়ে গিয়েছে বিজেপি!
সাত সকালেই মেজাজ হারান সুকান্ত মজুমদার।
তপনের পতিরাম গার্লস স্কুলের ১০০ নম্বর বুথে সুকান্ত মজুমদারকে ঘিরে “গো ব্যাক” ও “জয় বাংলা” স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের কর্মীরা। আর বুথের কাছে তৃণমূলকর্মীদের স্লোগান শুনে মেজাজ হারিয়ে তাঁদের দিকে আঙুল উঁচিয়ে তেড়ে গেলেন সুকান্ত মজুমদার। তপনের প্রতিরামে বুথ সামনেই তৃণমূল-বিজেপি ধস্তাধস্তি। বালুরঘাটে তৃণমূলকর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। সুর সপ্তমে চড়িয়ে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ”এত সাহস তৃণমূলের, আমাকে ধমকাচ্ছে, দেখি কত বড় গুণ্ডা”!

পাশাপাশি, বুথে কর্মরত পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত। তিনি জানান, পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। বালুরঘাটের আইসির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। সুকান্ত বলেন, ‘‘বালুরঘাটের আইসিকে সরাতে হবে. না, হলে এ রাজ্যে কোনওভাবেই নিরপেক্ষভাবে ভোট করা যাবে না।”
অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, নিশ্চিত হার বুঝেই শান্তিপূর্ণ এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
