রাজ্যে সপ্তম তথা শেষ দফায় ভোট যাদবপুর কেন্দ্রে। বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে যাদবপুর চিরকাল তারকা কেন্দ্রে। অনেক লড়াই, উত্থান-পতনের সাক্ষী এই যাদবপুর। এবারও আলাদভাবে নজর কেড়েছে একসময় “লাল দুর্গ” বলে পরিচিত যাদবপুর। লড়াইয়ে বিজেপির তাত্ত্বিক নেতা থাকলেও নজরে একদিকে, সৃজন ভট্টাচার্য অন্যদিকে সায়নী ঘোষ। অর্থাৎ, বাম-তৃণমূলের দুই তরুণ প্রজন্মের লড়াইয়ে এবার ঐতিহ্যের যাদবপুর জমজমাট।

যাদবপুর আবার লালে লাল হবেই আত্মবিশ্বাসী প্রাক্তন ছাত্রনেতা সিপিএম প্রার্থী। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের কটাক্ষ, লাল ঝাণ্ডার থেকে বিরিয়ানির হাঁড়িতে জড়ানো লাল কাপড়ের সংখ্যা বেশি। বৈশাখী গরমে বাম-তৃণমূল প্রার্থীর কটাক্ষ, পাল্টা কটাক্ষে বাড়ছে যাদবপুরের রাজনৈতিক পারদও।

সম্প্রতি প্রচারে বেরিয়ে যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “যাদবপুরের মানুষকে তৃণমূলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে লাল ঝান্ডাই একমাত্র পথ। সেই কারণে আমরা একত্রিত হয়ে তৃণমূলকে হারাতে চাইছি।” সৃজন জানান, তৃণমূল যদি ভালো কাজ করেই থাকে, তাহলে পঞ্চায়েতে ভোট লুঠ করতে হয় কেন? তবে, সৃজনেই আশা এবার ভালো ভোট হবে। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন।

অন্যদিকে, সৃজনের এই বক্তব্যকে চরম কটাক্ষ করেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। তিনি বলেন, “সিপিএম ৩৫ বছরে যা করেছে তাতে লাল ঝান্ডার থেকে বিরিয়ানির হাঁড়িতে লাল শালুর সংখ্যা বেশি।”

আরও পড়ুন- ‘চাকরিখেকো’ বিজেপি এবার লড়বে শিক্ষকদের জন্য! ভোট রাজনীতি মোদির
