বিরোধীদের নিচু দেখাতে ধর্মের তাস ছাড়া আর কিছুই খেলতে পারলেন না নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যে যেখানে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠছে, সেখানে সন্দেশখালির মহিলাদের অভিযোগ ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ল না প্রধানমন্ত্রীর। সেখানেও গ্রেফতার হওয়া নেতার ধর্মীয় পরিচয়ই সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেল মোদির কাছে। অন্যদিকে বিরোধীরা সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের আসন উদ্দেশ্য মানুষের সামনে তুলে ধরার পরে নির্বাচনী জনসভা থেকে সাফাই দেওয়ার কাজও শুরু করলেন মোদি।

গোটা দেশে ধর্মের তাস খেলে ভোট ব্যাঙ্ক ভরানোর চেষ্টা করা মোদি বাংলাতেও ব্যতিক্রমী নন। এবার সেই রাজনীতিতে ‘ভোট জেহাদ’ থেকে ‘মঙ্গলসূত্র’-কেও টেনে আনলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনের আগে তীব্র ধর্মীয় মেরুকরণের উদ্দেশ্য নিয়ে মোদি বলেন, “যেন মনে হচ্ছে বাংলায় হিন্দুদের তৃণমূল সরকার দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের দরজা দিচ্ছে।” সেখানেই ফের সন্দেশখালির পুরোনো প্রসঙ্গ টেনে এনে স্পষ্ট করে দেন ধর্মীয় তাস ঠিক কীভাবে নির্বাচনের আগে সন্দেশখালিতে খেলছে বিজেপি। তিনি বর্ধমানের সভা থেকে বলেন, “তৃণমূল সন্দেশখালির অপরাধীকে বাঁচাতে চাইছিল। তার কারণ কী শুধু এটা ছিল যে তাঁর নাম শাহজাহান শেখ ছিল?”

অন্যদিকে, যে দলের সাংসদরা দিল্লিতে গিয়ে বারবার বাংলার টাকা বন্ধ করার জন্য দরবার করেছেন, এমনকি প্রকাশ্যে আজও বাংলার টাকা বন্ধ করার কথা সজোরে বলেন, সেই সাংসদদের পক্ষেও সওয়ান করলেন নরেন্দ্র মোদি। বরাবর বাংলার বঞ্চনায় অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া বিজেপি নেতাদের বাংলা বিরোধী দাবি করেছে তৃণমূল। আর সেই বাংলা বিরোধী সাংসদদের পক্ষে কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে মোদি বলেন, “আপনারা বিজেপির সাংসদদের দেখেছন। গত পাঁচ বছর ওরা এত মেহনত করেছে, নিজেদের এলাকায় এত বিকাশ করেছেন। তাতে বিজেপির সাংসদদের ভোট দিলে উন্নয়নের পক্ষে সম্মতি দেবেন।” বিজেপি সাংসদদের এই কীর্তিকলাপ তুলে ধরেই ফের তাঁদের সমর্থনে ভোট চাইলেন মোদি।
