হেভিওয়েট নেতৃত্বকে হাজির থাকার আর্জি, চাপ বাড়তে কমিশনের মুখোমুখি হচ্ছে ইন্ডিয়া জোট

বাকি আরও চারদফা ভোট। তার আগে নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল ইন্ডিয়া জোট। বৃহস্পতিবার জোটের এক প্রতিনিধি দল ভোটদানের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবিতে কমিশনে মুখোমুখি হচ্ছে। তাতেও কাজ না হলে ভবিষ্যতে চাপ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটের শীর্ষনেতৃত্ব। জোটের প্রত্যেক দলকে হেভিওয়েট কাউকে প্রতিনিধি হিসাবে পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন থাকতে পারেন বলে সূত্রের খবর।

তৃতীয় দফার ভোটের দিনই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। সেদিনই আবার তৃণমূলের তরফে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটের পরিসংখ্যান দাবি করে কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়। কারণ প্রথম দফার ১১দিন ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের ৪ দিন পর কমিশনের তরফে ভোটদান সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়। যদিও তা অসম্পূর্ণ তথ্য বলে অভিযোগ বিরোধীদের। কারন হিসেবে দাবি করা হয়েছে- প্রথমত, ভোটদানের পরদিন কমিশন যে তথ্য প্রকাশ করে তার সঙ্গে চূড়ান্ত তথ্যের প্রচূর অমিল ছিল। একলাফে ভোটদানের হার প্রায় ৬ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় বিরোধীদের তরফে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়। কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ ওঠে। ভোটদানের এতদিন পর তথ্য প্রকাশ তাও অসম্পূর্ণ, অতীতে কখনও হয়নি। বিস্তারিত তথ্য চেয়ে প্রথমে কমিশনে চিঠি দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। আসন ধরে ধরে ভোটদানের হার প্রকাশের পাশাপাশি কত সংখ্যক ভোটার মতপ্রকাশ করেছেন তাও প্রকাশ করার দাবি জানান তিনি।

ভোটদান সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কথা বলতে কমিশনের কাছে জোটের তরফে সময় চাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে কমিশনের প্রতিনিধিরা জোট নেতৃত্বর সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়। তারপরেই শরিক দলের নেতৃত্ব নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন বলে সূত্রের খবর। তবে প্রতিনিধি দলের ওজন বাড়াতে সব দল থেকেই হেভিওয়েট কাউকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কংগ্রেসের তরফে সাধারন সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- সপ্তাহান্তে হাওড়ায় জোড়া সভা অভিষেকের, চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি