টি-২০ বিশ্বকাপের আগেই ভারতীয় ক্রিকেট নতুন জল্পনা। টি-২০ বিশ্বকাপের পর টিম ইন্ডিয়ার কোচ কে হবে সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই নতুন কোচের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের পরই ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে শেষ হবে রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে চুক্তি। গতবছর একদিনের বিশ্বকাপের পরই চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল। তারপর টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়।ভারতীয় দলের নতুন কোচ হিসেবে কোনও মহাচমক দেবে কিনা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, সেটাই এখন দেখার। বিগত কয়েক দিনে একাধিক নাম উঠে এসেছে ভারতীয় দলের পরবর্তী কোচ হিসেবে। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ে গেল গৌতম গম্ভীরের।

এদিকে রাহুল দ্রাবিড়ও জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি টিম ইন্ডিয়াকে আর কোচিং করাবেন না। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই আশা করেছিলেন যে ভিভিএস লক্ষ্মণ হয়ত দ্রাবিড়ের ছেড়ে যাওয়া সিংহাসনে বসতে পারেন। কিন্তু, তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন যে এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন না।ইতিমধ্যে টিম ইন্ডিয়ার একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে এই অনুরোধ করেছেন যে তিনি যেন আরও একবার তাঁর কোচিংয়ের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করেন। কিন্তু, তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে এই অনুরোধ তাঁর পক্ষে রাখা আর সম্ভব হবে না। ব্যক্তিগত কারণেই তিনি আর ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হতে পারবেন না। সে কারণে তিনি পুনরায় এই পদের জন্য আর আবেদনও করেননি। অন্যদিকে, ভিভিএস লক্ষ্মণকে নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল যে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের পরবর্তী কোচ হতে পারেন। কিন্তু, তিনিও এবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এই পদের জন্য তিনি আবেদন করবেন না।

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের তরফ থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে টিম ইন্ডিয়ার আগামী কোচের জন্য শুধুমাত্র ভারতীয়রাই নন, বিদেশি ক্রিকেটাররাও আবেদন করতে পারেন। ভারতীয় ক্রিকেটারকেই যে হেড কোচের কুর্সিতে বসানো হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। ২০১৩ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দল শেষবার আইসিসি খেতাব জয় করেছিল। সেইসময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ ছিলেন ডানকান ফ্লেচার। এছাড়া ২০১১ সালে টিম ইন্ডিয়া যখন একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করে, সেই সময়ও কোচ একজন বিদেশিই ছিলেন।
