যত সময় যাচ্ছে ততই বাড়ছে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। তবে এবার উদ্বেগ বাড়ালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নয়া তালিকা। বছর সাতেক পরে হু (WHO) প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়ার এক নয়া তালিকা প্রকাশ করেছে। যা দেখে চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যেভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার (Uses of Antibiotics) বেড়েছে তাতে মানবদেহে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজ়িস্ট্যান্স’ (AMR) বেশি মাত্রায় তৈরি হচ্ছে। যার ফলে ব্যাকটেরিয়া প্রতিহত করার ক্ষমতা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে।

দেহে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও অন্যান্য পরজীবীর সংক্রমণ দেখা দিলে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যদি এই সংক্রমণ আটকাতে না পারে তখন AMR- এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে ওষুধ কাজ করে না। এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে শুধু যে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের চিন্তা বাড়ে তাই নয় রোগীর নিজেও ক্রমশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু এরকম পরিস্থিতি থেকে বাঁচার উপায় কী? WHO বলছে, এর জন্য অবিলম্বে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির সন্ধান শুরু করা প্রয়োজন। চলতি বছরে ‘ব্যাকটিরিয়াল প্রায়োরিটি প্যাথোজেনস লিস্ট’-এ ১৫ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক-রেজ়িস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে রাখা হয়েছে সবচেয়ে বিপজ্জনক ক্যাটাগরি, তারপর যথাক্রমে খুব বিপজ্জনক ও মাঝারি বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়ার নাম।

এর আগে ২০১৭ সালে এরকমই সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।WHO-র অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজ়িস্ট্যান্স বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর-জেনারেল ইউকিকো নাকাতানি (Assistant Director-General for Antimicrobial Resistance Yukiko Nakatani) বলেন, বিশ্বে কী পরিমাণ ড্রাগ রেজ়িস্ট্যান্স ব্যাকটিরিয়া রয়েছে, তার একটা মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এর প্রভাব বিশ্লেষণ করাও হচ্ছে। এই সব বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি সমাধানের পথও উল্লেখ করা হয়েছে তালিকায়।
