লোকসভা ভোটের প্রচারে রাজ্যে ঘনঘন আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতিটি জনসভাতে তিনি মোদি গ্যারান্টির কথা বলছেন। তা যে কতটা অসত্য, রীতিমতো তথ্য প্রমাণ দিয়ে জানালেন অমিত মিত্র। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মোদির গ্যারেন্টি ৪২০। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে নারীশক্তির কথা বলেন, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। প্রতি ঘণ্টায় ৫১ জন মহিলা অপরাধের শিকার হচ্ছেন, যা নথিবদ্ধ। বেকারত্ব নিয়েও তিনি মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। সিএমআইয়ের তথ্য বলছে দেশে ৮৩ শতাংশ বেকার যুবক যুবতী। শিক্ষিতদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ বেকার। স্কিল ইন্ডিয়ায় মাত্র ৪ শতাংশ ছেলে মেয়েরা ভোকেশনাল ট্রেনিং পাচ্ছে, বাকিরা কিন্তু ট্রেনিং পাচ্ছে না। পরিবারের আর্থিক সঞ্চয় সবচেয়ে নিম্ন জায়গায় পৌঁছেছে ৫০ বছরে। বিজেপির একজন এখানে এসে বললেন, শিল্প এখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রশ্ন, ৩৫ হাজার কেন ভারত ছেড়ে পালিয়ে গেল অন্য দেশে তার জবাব দিন। কেন তারা ২০১৭-২০২০ র মধ্যে দেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিল ।

প্রধামমন্ত্রীর গ্যারান্টি ৪২০ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেন আমাদের চাষিদের এমএসপি দেওয়া হল না কেন? পরিসংখ্যান বলছে প্রতিদিন ৩০ জন চাষি এদেশে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। সারা বিশ্ব থেকে ধার নিচ্ছে কেন্দ্র। ১০ বছরে ধারের হার ১০০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৩-১৪ সালে ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বাইরে থেকে ধার নেওয়া হয়েছিল । সেটা ২০২২-২৩ এ বেড়ে হয়েছে ৭ লক্ষ ২২ হাজার কোটি টাকা। তার প্রশ্ন, হেট স্পিচেস ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। কমিউনাল বক্তব্য বেড়েছে। এটাই মোদি গ্যারেন্টি?তিনি মনে করিয়ে দেন, ২০২১ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দিয়েছে, আবাস যোজনার এক টাকাও দেয়নি। একটা টা প্রশ্নেরও পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী জবাব দেননি। এটাই মোদি গ্যারান্টি? মণিপুরে যখন আগুন জ্বলছে , অশান্তি চলছে তখনও প্রধানমন্ত্রী একবারও মণিপুরে গেলেন না। এটাই তার গ্যারান্টি? প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভান্ডারকে হেয় করছেন। তারই ডানহাতের লোক অমিত শাহ বলছেন ১০০ টাকা বাড়িয়ে দেব। এটাই তার গ্যারান্টি ফোর টোয়েন্টি। মনে রাখেন ২ কোটি ৫০ লক্ষ মহিলা রাজ্যে এই প্রকল্পে লাভবান হন। ব্যাঙ্ক ১৬ লক্ষ কোটি দিতে হবে না বলছে। কিন্তু ছোট ব্যবসা তার ধর্তব্যের মধ্যে নেই। অথচ ১৬০ কোটি ছোট ব্যবসায়ী আছেন। কিন্তু তারা সুযোগ পেলেন না। তবে কারা সুযোগ পেল ?

তিনি এদিন সাফ জানান, বিজেপি সাংবাদিক সম্মেলনে বলছে রাজ্যে ঋণ বেড়েছে। আসলে বিজেপি ভুল তথ্য দিচ্ছে। ঋণ মাপা হয়ে GDP দিয়ে।সরকারে আসার সময় ৪১-৪২ শতাংশ জিডিপি রেশিও ছিল। আজ আমাদের জিডিপি সারে ১৭ লাখ এ পৌঁছে যাচ্ছে। তাদের অজ্ঞতার জবাব আমরা দেব না।
