ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে বহুচর্চিত সন্দেশখালিতে তৃণমূলের “সার্জিক্যাল স্ট্রাইক”! সন্দেশখালি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর ছিল যে পাত্রপাড়া, সেখানেই মাস্টার-স্ট্রোক ঘাসফুল শিবিরের! গতকাল, বৃহস্পতিবার ভোটপ্রচারের একেবারে শেষলগ্নে এলাকার প্রতিবাদী মহিলাদের নিয়ে বিশাল মিছিল ও বনভোজনের আয়োজন করেছিলেন বিজেপি ত্যাগ করে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সিরিয়া পারভিন।সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন দু’দিন আগেও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত অনেক মহিলাই। আর স্লগ ওভারে তৃণমূলের ইয়র্কারে বেসামাল পদ্ম শিবির!

বিজেপির সন্দেশখালি মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের একের পর এক ভিডিও ভাইরাল হতেই সন্দেশখালি নিয়ে গেরুয়া পার্টির চক্রান্ত সামনে চলে আসে। যা নিয়ে শোরগোল পরে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতির করতে মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে, তাঁদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলার জন্য বিজেপির সমালোচনায় মুখর খোদ সন্দেশখালি। সেই আবহে বৃহস্পতিবার ছিল শেষ ভোট প্রচার। ওইদিন সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়ালেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া সিরিয়া পারভিন। প্রথমে তিনি যান তুষখালিতে। সেখানে মহিলাদের নিয়ে মিটিং করার পর আন্দোলন নিয়ে মানুষকে সচেতন করেন। এরপর তিনি হাজির হন মথুরাপুরে। পরে যান সন্দেশখালির ত্রিমোহিনী বাজারের পাত্রপাড়াতে। সেখানে রেখা পাত্রের প্রায় ৩০০ ছায়াসঙ্গীকে নিয়ে বৈঠক করার পাশাপাশি এলাকায় একটি মিছিল করেন। সবশেষে ছিল দুপুরে খাবারের আয়োজন।


সিরিয়া বলেন, “বিজেপিতে থাকাকালীন সন্দেশখালির মহিলাদের নিয়ে যেভাবে রাজনীতি করা হয়েছে, সেটাকে ধিক্কার জানাই। একাধিকবার এই আন্দোলন নিয়ে আমাকেও অপদস্ত করা হয়। তাই যাঁরা নিজেদের দলের মহিলা কর্মীদের সম্মান দিতে পারেন না, তাঁরা বাইরের মহিলাদের সম্মান দেবেন, এটা চিন্তারও বাইরে। আসলে ভোটবাজারে মহিলা দরদ দেখাতেই কৃত্রিম এক নারীশক্তি নিয়ে কথা বলছে বিজেপি।”
