Thursday, December 18, 2025

জিতেও মন্ত্রিসভায় ব্রাত্য অভিজিত! বাংলা এবারও পেল না পূর্ণমন্ত্রী?

Date:

Share post:

বিজেপির মন্ত্রিসভায় এবারেও বাংলা থেকে কোনও পূর্ণমন্ত্রী পাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে গেল। নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা ঘোষণার আগের বৈঠকে রাজ্যের দুই জয়ী সাংসদ প্রবেশের অনুমতি পেলেন। তবে তাঁদের পূর্ণমন্ত্রিত্বের কোনও সম্ভাবনা দেখা গেল না। সেই সঙ্গে ঘটা করে প্রচারের সময় যে পদত্যাগী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মাথায় হাত রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেই অভিজিৎকেও খুঁজে পাওয়া গেল না মোদির মন্ত্রিসভার তালিকায়।

বাংলায় লোকসভায় কয়েকটি আসনে জেতার পর বরাবর রাজ্যের দুই অংশ – উত্তর ও দক্ষিণ থেকে ভারসাম্য রেখে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেয় বিজেপি। এবার আসন কমেছে। হেরেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। ফলে একেবারে পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনার মতো একটি মন্ত্রিত্ব পেতে চলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উত্তরের জেলাগুলি থেকে বিজেপি এবার দুটি আসন হারিয়েছে যার মধ্যে একটি নিশীথ প্রামাণিকের কেন্দ্র কোচবিহার। যেগুলি বিজেপি ধরে রাখতে পেরেছে তার মধ্যে সবথেকে কম ব্যবধানে জিতেছেন সুকান্ত। তারপরেও বিজেপি নেতৃত্ব ভরসা রাখতে চলেছে তাঁর উপর, যেহেতু তিনি রাজ্য সভাপতির পদে থেকে কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখায় সফল হয়েছেন।

সেই সঙ্গে আবারও মন্ত্রিত্ব পাওয়ার তালিকায় নাম শান্তনু ঠাকুরের। রাজ্যের দুটি মতুয়া সংখ্যাধিক্য থাকা কেন্দ্র বনগাঁ আর রানাঘাটে জয় নিশ্চিত করার পিছনে মূল কারিগর শান্তনু। বারবার মতুয়া ভোট একজোট করে এই দুটি কেন্দ্র বিজেপিকে উপহার দিতে সক্ষম হয়েছেন শান্তনু। আগেও তাঁর পুরস্কার হিসাবে মন্ত্রিত্ব উপহার দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে এবারও প্রতিমন্ত্রী হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে তাঁকে। মতুয়াদের জন্য বিজেপির অনেক ভাসন শোনা গেলেও তাঁদের যে এখনও দুয়োরানির মতই দেখে বিজেপি, শান্তনুর প্রতিমন্ত্রিত্বে সেটা আবারও প্রমাণিত।

তবে এবার লোকসভা নির্বাচনে যাঁকে নিয়ে সবথেকে বেশি চর্চা হয়েছিল বিজেপি মহলে সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গা হল না মোদির মন্ত্রিসভায়। বিচারপতির আসন ছেড়ে রাজনীতিতে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার অভিজিতের স্বপ্ন আপাতত বিশ বাঁও জলে। কার্যত দেশের জনমত না পাওয়া বিজেপি ও আরএসএস মন্ত্রিত্ব ও দায়িত্ব নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় না। ফলে সদ্য দলে যোগ দেওয়া বিচারপতির উপর ততটা আস্থা রাখতে পারল না বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুরের সব আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সহযোগিতায় হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে বিজেপির প্রথম দফার হবু মন্ত্রীদের বৈঠকে অভিজিতের ডাক না পাওয়া, বিজেপির অন্দরে তাঁর রাজনৈতিক নিশ্চয়তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি করছে।

spot_img

Related articles

হোটেল থেকে হোমস্টে, বড়দিনে জমজমাট শৈল শহরের বুকিং! 

উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভরপুর শীতের আমেজ, সঙ্গে আবার উৎসবের মরশুম- তাই উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সকলেরই ক্রিসমাস (Christmas time) ডেস্টিনেশন...

আজ থেকে ‘নো ম্যাপিং’ ভোটারদের নোটিশ পাঠানো শুরু কমিশনের

বঙ্গে এসআইআর (Special Intensive Revision) পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর এবার শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর)...

নিউটাউনের ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধ্যার পর...

বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ: বিনিয়োগের বার্তা নিয়ে শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে শিল্প ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’। ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে...