আশঙ্কা ছিলই। শনিবার সেই আশঙ্কাকে সত্যি করেই এবার জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল কসবার অ্যাক্রোপোলিস মল। শুক্রবার দুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল কসবার এই শপিং মলের দরজা। পাশাপাশি সিল করে দেওয়া হয়েছে চারতলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। কিন্তু কী কারণে আগুন লাগল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত।

সূত্রের খবর, শুক্রবারই ওই শপিং মলে গিয়ে ফরেনসিক দল নমুনা সংগ্রহ করে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই রিপোর্ট দমকলের তরফে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে কীভাবে এমন বিধ্বংসী আগুন লাগল তা জানতে মরিয়া দমকল কর্তৃপক্ষ। সেকারণেই শপিং মল কর্তৃপক্ষের কাছে অগ্নিকাণ্ডের আগের ২৪ ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছে দমকল। এছাড়াও নির্দিষ্ট সময় অন্তর শপিং মল ও বহুতলগুলির যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা, তা দেওয়া হয়েছিল কি না সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে।


তবে এখানেই শেষ নয়, অগ্নিকাণ্ডের সময় আটকে পড়া মানুষদের বের করার মতো দক্ষ কর্মী মজুত ছিলেন কি না, সেটাও মল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে দমকলের ডিজি সূত্রে খবর। পাশাপাশি চেয়ে পাঠানো হয়েছে হয়েছে মক ড্রিলের প্রমাণও। উল্লেখ্য, শুক্রবারই কসবার শপিং মলের চারতলায় আগুন লাগে। সেইসময় তিনতলায় ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল বলে জানা গিয়েছে। তার সঙ্গে আগুনের কোনও যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছেন দমকল আধিকারিকরা। এছাড়াও মলের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সবদিক খতিয়ে দেখে আগুনের ঘটনায় কোনওরকম মামলা রুজু হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং ফায়ার অডিট সংক্রান্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরই শপিং মল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ঘটনা প্রসঙ্গে শনিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ওই শপিং মলের সিঁড়িতে যদি কোনওভাবে আবর্জনা ডাঁই করে আটকে দেওয়া হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে মল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হবে। কোনও বহুতলের সিঁড়ি কিংবা ছাদ কখনই এভাবে দখল করা যায় না। এগুলো কমন প্লেস, অগ্নিকাণ্ড বা কোনও দুর্ঘটনার সময় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করার পথ। এখানে ওই সিঁড়ির রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব মল কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও পড়ুন- মুক্তধারা মুক্তমঞ্চ! রবি ঠাকুরের স্মৃতি ধরে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ হাওয়া অফিসের
