Saturday, August 23, 2025

ন্যাশনাল মেডিক্যালে ধু.ন্ধুমার,রোগীর আত্মীয়দের বেধড়ক মা.র

Date:

Share post:

ব্যথা কেন সারছে না? প্রশ্ন করায় প্রথমে নার্সের অবাঞ্ছিত ব্যবহার ও পরে রোগী এবং তার পরিবারকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। খাস কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা । অভিযোগ করতে গেলে এফআইআর না নেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করেছে আক্রান্ত পরিবার। কলকাতায় হাসপাতালের মধ্যেই রোগী ও তাঁর পরিবারকে লাঠিপেটা করার মারাত্মক অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।
এক রোগীকে ইঞ্জেকশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসার সূত্রপাত। কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বাইরে রোগী সুস্থ না হওয়ায় বিক্ষোভ দেখান তাঁর আত্মীয়রা। সংশ্লিষ্ট রোগীর পরিবারের সদস্যদের উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। লাঠি নিয়ে তেড়ে আসতে দেখা যায় সিভিক ভলন্টিয়ারকেও। ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ চত্বরে। লাঠিচার্জের ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এনেছেন রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতালে সুপারের কাছে এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

রোগী শাহনওয়াজ বেগম জানিয়েছেন, তিনি রবিবার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে দুপুর বারোটা নাগাদ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এসেছিলেন। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে দেখে বুকে ব্যথার একটি ইঞ্জেকশন লিখে দেন। হাসপাতালে দু-বার ইনজেকশন দেওয়ার পর তৃতীয়বার ইনজেকশন দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর বুকের ব্যথা কমার বদলে আরও বেড়ে যায়। বারংবার ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেও কেন ব্যথা বেড়ে যাচ্ছে? জিজ্ঞেস করায় নার্স এবং হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা দুর্ব্যবহার শুরু করেন বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ এবং কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। অভিযোগ তাঁদের টেনে হিঁচড়ে জরুরী বিভাগ থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং গালিগালাজ করা হয়।

পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন রোগী এবং তাঁর আত্মীয়রা। এরপর হাসপাতাল চত্বরে শাহনওয়াজ বেগম এবং তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। তাঁর ছেলেকেও লাঠির বাড়ি মারা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও তুলে রাখলে পুলিশ মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ভিডিও করতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই রোগীর পরিবার যে ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে পুরুষ পুলিশকর্মী লাঠির বাড়ি মারছেন এক ব্যক্তিকে। তাঁকে বাঁচাতে মহিলারা এগিয়ে গেলে তাঁদের লাঠির আঘাত লাগে।
রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের অভিযোগ গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দিয়েছে। এমনকি এফআইআর তো দুর-অস্ত, জিডিও নেওয়া হয়নি। রোগীর ছেলে মোহাম্মদ শাহাদাত বলেন, “আমরা থানায় গিয়েছিলাম। লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অভিযোগ নেওয়া হয়নি। উল্টে আমাদের একটা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে, আমার মা, বাবা সকলকে মারধর করা হয়েছে। সাহায্যের জন্য আমরা আত্মীয়দের হাসপাতালে ডাকি। পুলিশ তাঁদের সাথেও খারাপ আচরণ করে। আমরা ওই পুলিশের শাস্তি চাই। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা দেখলেই বোঝা যাবে আমরা কিছুই করিনি। তা সত্ত্বেও আমাদের মারধর করা হয়েছে।

 

spot_img

Related articles

চলন্ত বাইকে চূড়ান্ত রোমান্স যুগলের! দিতে হল চড়া মাশুল

চলন্ত বাইকে (Bike) যুবক ও যুবতীর রোমান্স যা হার মানাবে বড় বড় বলিউড সিনেমাকে। একে অপরকে জড়িয়ে বাইকের...

রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনী, বুথ পুনর্বিন্যাসে বৈঠকে ডাক সব রাজনৈতিক দলকে

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী ঘিরে প্রস্তুতিতে নেমেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই বুথের পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এবার সেই...

আইন কলেজ গণধর্ষণে ৫৮ দিনে চার্জশিট পেশ: নাম মনোজিৎ-সহ চারজনের

কসবা আইন কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনার ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল কলকাতা পুলিশ। শনিবার আলিপুর আদালতে প্রায়...

ভালো শুরু করেও প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ল ডায়মন্ডহারবার এফসি

সেই আলাদিন আজারের(Aladdin Ajaraie) ম্যাজিকেই পিছিয়ে পড়ল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। ফাইনালে বাংলার দল হিসাবে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে নেমেছিল ডায়মন্ডহারবার...