‘গীতা’ আমায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে: অলিম্পিক্সে পদক জয়ের পরে প্রতিক্রিয়া মানু ভাকের

আজ চিত্রটা ঝা-চকচকে হলেও, এর পিছনে কমটি কষ্ট করেননি মানু।

‘আমি খুব গীতা পড়ি ,গীতা আমায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে’, এদিন প্যারিস অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদক জয়ের পর বললেন মানু ভাকের। অলিম্পিক্সে ইতিহাস গড়েছেন মানু। প্রথম ভারতীয় মহিলা শুটার হিসাবে অলিম্পিক্সে পদক জয় করেছেন তিনি। জিতেছেন ব্রোঞ্জ। আর এরপরই যেন আবেগে ভাসলেন ভারতীয় শুটার।

আজ চিত্রটা ঝা-চকচকে হলেও, এর পিছনে কমটি কষ্ট করেননি মানু। টোকিও অলিম্পিক্স থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল মানুকে। একেবারে শেষ মুহূর্তে পিস্তল বিকল হয়ে যায় তাঁর। সারিয়ে নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছিলেন, কিন্তু একরাশ ব্যর্থতা নিয়ে শুটিং রেঞ্জ ছাড়তে হয় মনুকে। কাঁদতে কাঁদতে বিদায় নিয়েছিলেন। একটা সময় মনে হয়েছিল সব ছেড়ে দিতে। কিন্তু ফের কামব্যাক করেন মানু। যা হয় স্বপ্নের। এদিন অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জয়ের পর মানু ভাকের বলেন, “ নিজের পরিশ্রমের প্রতি ভরসা ছিল। কর্মের প্রতি ভরসা ছিল। ফাইনালে নামার টেনশন থাকলেও, সেটা আখেরে লাভজনক হয়েছে। ফোকাস করতে সুবিধা হয়েছে। ” এরপরই তিনি বলেন, “ আমি খুব গীতা পড়ি। গীতা আমায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। অর্জুনের উক্তিটা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজ ফাইনালে সেটা আমায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।”

এদিকে নাতনির সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মানু ভাকেরের ঠাকুমা। হরিয়ানায় পরিবার এবং পড়শিদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মাতেন তিনি। লাড্ডু বিতরণ করে মাতেন সেলিব্রেশনে। তিনি এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে বলেন, “আমি ওকে আশীর্বাদ করি। ও দারুণ কাজ করেছে। ও এখানে এলে আমরা সবাই মিলে ওকে স্বাগত জানাব। আমি ওর জন্য একটি বিশেষ খাবার তৈরি করে রাখব।”

আরও পড়ুন- অলিম্পিক্সে পদক জয়ী মানু ভাকেরকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

Previous articleসাতদিনে সাত, ফের পাঁশকুড়ার কাছে লাইনচ্যুত মালগাড়ি
Next articleউত্তরপাড়ার গর্ব বিমল মুখোপাধ্যায়কে মোহনবাগান দিবসে মরণোত্তর সারা জীবনের স্বীকৃতি