RG Kar: যথাযথ তদন্তে আশ্বাস স্বাস্থ্যসচিবের, পরিষেবা চালুর আর্জি

আর জি করে নিন্দনীয়, মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার, সরকারের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে ফের কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব (Home Secretary) নারায়ণ স্বরূপ নিগম (Narayan Swarup Nigam)। লিখিত বিবৃতি পাঠ করে তিনি বলেন, এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত করার বিষয়ে তাঁরা বদ্ধপরিকর। পাশাপাশি, হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করার আবেদন স্বাস্থ্যসচিবের।এদিন, স্বাস্থ্যসচিব বলেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে (R G Kar College and Hospital) যা হয়েছে, তার কড়া  ভাষায় নিন্দা করছে রাজ্য সরকার। আমরা এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। কলকাতা পুলিশ কমিশনার ব্যক্তিগত ভাবে বিষয়টির তত্ত্ববধান করছেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরে প্রথম দিনেই যথাযথ তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে। তিনি জানান, “ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরে প্রথম দিনেই যথাযথ তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে নিশ্চিত করা হচ্ছে আমরা অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করব। নিহত মেয়েটির বাবা-মাকে নিয়মিত তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছে। পুলিশের তৎপরতায় ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই তদন্ত প্রক্রিয়া আমাদের দেখা দ্রুততম তদন্তগুলির মধ্যে একটি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করেছি এবং তাঁদের নিশ্চিত করে এসেছি যে, ওই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হবে এবং অপরাধীরা শাস্তি পাবে। কলকাতা পুলিশ কমিশনারও আন্দোলনকারী ডাক্তারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রবিবার। তাঁদের তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীরাই ওই দাবি করেছিলেন। কলেজের অধ্যক্ষ এবং সুপারকেও বদলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার বোঝাতে চেয়েছে, এই নৃশংস ঘটনায় তারা আন্দোলনকারীদের পক্ষে রয়েছে। যদিও তার পরেও রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিতে রোগী পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।“

নিগমের (Narayan Swarup Nigam) কথায়, ঘটার ১২ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। এটা অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে গ্রেফতারির একটা উদাহরণ। কিন্তু রোগীদের কথা ভেবে পরিষেবা স্বাভাবিক করার আবেদন জানান তিনি। বলেন, “দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে, কর্মবিরতি প্রত্যাহার করুন!” এতে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যসচিব জানান, ”আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি জারি রেখেছেন রাজ্যজুড়ে বহু হাসপাতালে। সিনিয়র ডাক্তারেরা হাসপাতালগুলির বহির্বিভাগ এবং জরুরি পরিষোবা ও জরুরি বিভাগের চাপ সামলাচ্ছেন। আমরা রোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাচ্ছি কিছু কিছু হাসপাতালে  জরুরি বিভাগে যথাযথ পরিষেবা  না পাওয়ার।  জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে আমাদের আবেদন, যেহেতু রাজ্য সরকার এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত করতে বদ্ধ পরিকর এবং তার প্রমাণও ইতিমধ্যেই দিয়েছে,  তাই চিকিৎসকেরা যেন রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার কাজ বন্ধ না করেন।  বৃহত্তর জনস্বার্থ এবং মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে তাঁরা যেন দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করে।”

তিনি জানান, রাজ্যে প্রতিদিন প্রায় ২ লক্ষ ওপিডি হয়, ১ লক্ষের বেশি টেলি মেডিসিন পরিষেবা দেওয়া হয়। প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ হাজার মানুষ হাসপাতালে ইন্ডোর বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে থাকেন। কিন্তু ডাক্তারদের কর্ম বিরতির জেরে সেই পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।






Previous articleRG Kar: তদন্তে আদালতের নজরদারির দাবি মৃতার পরিবার, অধ্যক্ষকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ
Next articleআজ রায় ঘোষণা বিনেশের, পাবেন কি রুপো ?