জার্মানিতে শিশুকন্যার ধ.র্ষক ও খু.নিকে আদালতে গু.লি করে খু.ন মায়ের, আরজি কর কাণ্ডে ফের চর্চায়

আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। দফায় দফায় বিচারের দাবিতে পথে নামছেন আম জনতা

আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। দফায় দফায় বিচারের দাবিতে পথে নামছেন আম জনতা।এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মায়ের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।তার নাম মারিয়ান বাখমায়ার।কী করেছিলেন তিনি? তিনি তার শিশুকন্যার ধর্ষক ও খুনিকে আদালতে দাঁড়িয়ে সটান গুলি করে খুন করেছিলেন।

সালটা ছিল ১৯৮০। পশ্চিম জার্মানির এক ছোট শহর সারস্টেডে থাকত বছর সাতেকের অ্যানা বাখমায়ার। হঠাৎই একদিন নিখোঁজ হয় সে।অনেক খোঁজাখুঁজির পর মেলে মৃতদেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে শিশুটিকে।গ্রেফতার হন ৩৫ বছরের ক্লাউস গ্রাবোস্কি। ওই অপরাধের আগেও একাধিকবার শিশুদের যৌন নির্যাতনের ঘটনায় তিনি অভিযুক্ত হয়েছিলেন। পেশায় কসাই ক্লাউসকে তাঁর স্ত্রীই পুলিসের কাছে ধরিয়ে দেন। জেরায় ক্লাউস স্বীকার করেন, অ্যানাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাড়িতে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন করেছি। তার পর শ্বাসরোধ করে খুন করি। তার স্বীকারোক্তি শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে যায় জার্মানি।

ঘটনার দিনটি ছিল ১৯৮১ সালের ৬ মার্চ।তৃতীয় দিনের শুনানিতে আদালত চত্বরে ভিড়ে ঠাসা। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অভিযুক্ত। হঠাৎই মৃতা শিশুর মা মারিয়ান বন্দুক বের করে ক্লাউসকে লক্ষ্য করে সাতটি গুলি করেন।আদালতেই লুটিয়ে পড়ে শিশু কন্যাকে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত।গ্রেফতার হন মারিয়ান। জেরায় তিনি স্বীকার করেন, মেয়ের ধর্ষক ও খুনিকে মারার পরিকল্পনা আগেই করেছিলেন তিনি। ঘটনার দিন ০.২২ ক্যালিবারের একটি বেরেটা পিস্তল নিয়ে আদালতে ঢোকেন মারিয়ান। শুনানি শুরু হতেই সুযোগ বুঝে ‘খুনি’ ক্লাউসকে লক্ষ্য করে গুলি করেন।খুনের দায়ে ১৯৮৩ সালে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন অ্যানার মা। ছ’বছরের জেল হয়। ছাড়া পাওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই ক্যানসার কেড়ে নেয় মারিয়ানের জীবন।

সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেই তোলপাড় গোটা দেশ। বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। সেই মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় ফিরেছে সুদূর জার্মানির মারিয়ানের কথা।

 

Previous articleতিন তালাক আইন মুসলিম মহিলাদের রক্ষক হয়নি: আদালতে দাবি কেন্দ্রের
Next articleকাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় মৃত সেনা আধিকারিক, পাঁচদিনে দ্বিতীয় মৃত্যু