নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) কোনওরকম হস্তক্ষেপ নয়, শুক্রবার একথাই স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ২৭ অগাস্ট, মঙ্গলবার আর জি কর (R G Kar) কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল একটি সংগঠন। আর সেই অভিযান আটকাতেই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। শুক্রবার মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিল, নবান্ন অভিযানে আর কোনও বাধা রইল না। তবে এদিন রাজ্যকে মিটিং, মিছিল নিয়ে হাই কোর্টে হলফনামা জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ২৭ অগাস্ট একটি সংগঠনের তরফে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এরপরই পুলিশি নিরাপত্তা-সহ একাধিক ইস্যুতে অভিযান আটকাতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কিন্তু শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেন এই বিষয়ে একেবারেই হস্তক্ষেপ করবে না হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার অভিযান বাতিলের জন্য মামলা দায়ের হলেও এদিন নতুন করে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী দেবরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন উচ্চ আদালতের এমন নির্দেশের পর মামলাকারীর তরফে প্রশ্ন করা হয় তাহলে কী কর্মসূচিতে সবুজ সংকেত দেওয়া হল? উত্তরে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, এই বিষয়ে তারা কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না।

রাজ্যের অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের জন্য পুলিশের থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। পুলিশের অনুমতি ছাড়া কীভাবে এই অভিযান সম্ভব তা নিয়েও এদিন কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্ন তোলে রাজ্য। পাশাপাশি বিরোধীরা এই অভিযানে সামিল হয়ে অশান্তি পাকাতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল রাজ্য। কিন্তু হাই কোর্ট এসবে কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বলে এদিন সাফ জানিয়েছে। এদিন আদালত জানিয়েছে চার সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি হবে এবং ওই দিনই প্রতিবাদ কর্মসূচি সংক্রান্ত নির্দেশিকা নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা জমার নির্দেশ হাই কোর্টের।
