Sunday, November 9, 2025

‘ফ্লপ’ বনধে বিজেপির দোসর শুধু রেল, স্বাভাবিক কর্মজীবন

Date:

Share post:

ন্যায় বিচারের দাবিকে নিছক রাজনীতির চাল হিসাবে প্রয়োগ করা বিজেপির আসল চেহারাটা মঙ্গলবার নবান্ন (Nabanna) অভিযানেই সামনে চলে এসেছিল। তাই বুধবার ঘটা করে বনধ ডাকলেও রাজ্যের মানুষ কর্মনাশা বনধের পরিকল্পনা ব্যর্থ করেছে। একমাত্র কেন্দ্র সরকারের অধীন রেলপথ বিভিন্ন জায়গায় আটকানোর চেষ্টা করলেও দিনের শেষে রেল চলাচলও স্বাভাবিক হয়ে যায়।

বুধবার রাজ্যের শিল্পাঞ্চলে (industrial belt) উপস্থিতি ছিল ৮৪ থেকে ৮৬ শতাংশ। চা বাগানে (tea garden) উপস্থিতি ছিল ৮২-৮৩ শতাংশ। আইটি সেক্টরে (IT sector) ১০০ শতাংশ। রাজ্য সরকারের তরফে মঙ্গলবারই ঘোষণা করা হয়েছিল কর্মনাশা বনধে রাজ্য সরকারের কোনও সমর্থন নেই। ফলে নবান্নে (Nabanna) উপস্থিতি ছিল ৯০ শতাংশ। রাজ্যে সব সরকারি দফতরগুলি মিলিয়ে উপস্থিতি ছিল ৯৪.৮৫ শতাংশ। পরিবহনও ছিল স্বাভাবিক।

শুধুমাত্র রেল পরিবহনে সকালের দিকে কিছু জায়গায় বাধা পড়ে। বিভিন্ন জেলায় দেখা যায় বিজেপি কর্মীরা লোকাল ট্রেনে করে এসে বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধ করেন। এমনকি অবরোধ তুলতে কোথাও আরপিএফেরও দেখা পাওয়া যায়নি। কার্যত বিজেপির বাংলা বনধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সাহায্যে নেমে পড়ে রেল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে রেলের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেন, “সারা বাংলা সচল ছিল। সকালের দিকে কিছু জায়গায় একটু কম লোক দেখা গিয়েছে। কারণ গতকালের গুণ্ডামিতে মানুষ কিছু ভয় পেয়েছে। কিছু দোকান একটু দেরিতে খুলেছে। কারণ ট্রেন লাইনটা রেল কর্তৃপক্ষ (Indian Railway) আর বিজেপি গটআপ করে দেরি করিয়েছিল।”

বুধবারও বনধকে ঘিরে কয়েকটি জায়গায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে বিজেপি। তাতেই আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে আর জি করের ন্যায় বিচার নয়, এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা উদ্দেশ্য বিজেপির, দাবি তৃণমূলের। কুণাল বলেন, “আর জি করের ন্যায় বিচার আমরাও চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও চান, দলও চায়। গ্রেফতারটাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ করেছে। সিবিআই এখনও কিছু করতে পারেনি। তারা নবান্ন অভিযান বলে গণ্ডগোল করেছে। তদন্তে দেরি থেকে নজর ঘোরাতে। তদন্তের দেরি করা হচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির জন্য।”

spot_img

Related articles

ফর্ম বিলি করতে গিয়ে ব্রেন স্ট্রোক! SIR-আতঙ্কে মৃত্যু এবার BLO-র

কারো নাম নেই ভোটার তালিকায়, কারো পরিচয়ে ভুল। এই সব আতঙ্কে যখন রাজ্যে একের পর এক সহনাগরিকদের মৃত্যু...

সংকটে ভারতীয় ফুটবল, কঠিন সময়ে সরব হলেন ইস্টবেঙ্গলের দুই তারকা

ভারতীয় ফুটবলে বিপণন করার কেউ নেই।দেশের সর্বোচ্চ লিগ না হলে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে ভারতীয় ফুটবল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।...

কীভাবে দত্তাবাদে খুন স্বর্ণ ব্যবসায়ী: এবার তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগ

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা। সোনার ব্যবসা করতেন নিউটাউনের দত্তাবাদে। দেহ পাওয়া গেল যাত্রাগাছির কাছে। খুনে নাম জড়ালো জলপাইগুড়ির...

‘ভূত বিড়াল’ কি শুধুই কল্পনার কাহিনী? বাস্তবে কোথায় দেখা গেল চাঁদনি রাতের বিড়াল

কালো নয়। ডোরা কাটাও নয়। বন বিড়াল। তবে সাদা। দেখা যায় শুধুই চাঁদনি রাতে। মানুষের থেকে ভূতের সঙ্গেই...