Thursday, December 4, 2025

বৃষ্টি ও DVC-র ছাড়া জলে একাধিক জেলা প্লাবিত, পরিস্থিতি দেখতে জেলায় ১০ শীর্ষ আধিকারিক

Date:

Share post:

ঝাড়খণ্ড থেকে ছাড়া জলে প্লাবিত বাংলার একাধিক জেলা। এই বিষয় নিয়ে আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। মঙ্গলবার, নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandopadhyay) জানালেন, জেলার পরিস্থিতি দেখতে যাবেন ১০ প্রধান সচিব পর্যায়ের শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিক। তিনি জানান, নিম্নচাপের বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে রাজ্যের একাধিক জেলায় প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একটানা দুর্যোগের জেরে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন সাত ঘণ্টার মধ্যে পাঞ্চেত এবং মাইথন বাঁধ থেকে প্রায় ৩ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। এর ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার বানভাসী হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখা নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandopadhyay) জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিজে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা করে ১০ জন প্রধান সচিব পর্যায়ের শীর্ষ আধিকারিককে ওইসব জেলায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঠানো হচ্ছে। নীচু এলাকা থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে আনতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলাশাসকদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে রাজ্য প্রশাসনের তরফে তিনি অনুরোধ জানান। এদিন, সকাল ১১টার পর মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হয়েছে। তবে পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া বাড়ানো হয়েছে। মাইথন থেকে প্রায় ২ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছিল। এখন সেখান থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। অন্যদিকে, পাঞ্চেত থেকে ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছিল। এখন সেখান থেকে প্রায় ৯০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। এর ফলে ডিভিসির দুটি বাঁধ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ প্রায় একই থাকছে। প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক জল দুর্গাপুর ব্যারেজের দিকে যাচ্ছে। অন্যদিকে DVC-র দাবি, ঝাড়খণ্ড সরকার তেনুঘাট থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ায় পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াতে হচ্ছে।প্রসঙ্গত, দু’টি জলাধার থেকে জল ছাড়া হলে সেই জল দামোদর নদ হয়ে পৌঁছয় পশ্চিম বর্ধমানের দামোদর ব্যারেজে। জলের চাপ বাড়তে থাকলে সেখান থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বেশি জল ছাড়া হলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলির খানাকুল, আরামবাগ–সহ দামোদরের তীরবর্তী এলাকাগুলি বানভাসি হতে পারে।

একনজরে কোন সচিব কোন জেলায়-
ক্ষুদ্র শিল্প সচিব রাজেশ পাণ্ডে -হাওড়া
আবাসন সচিব রাজেশ সিনহা – বীরভূম
জনস্বাস্থ্য কারিগরী সচিব সুরেন্দ্র গুপ্ত – পশ্চিম মেদিনীপুর
কৃষি সচিব ওঙ্কার সিং মিনা – হুগলি
খাদ্য সচিব পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি – পূর্ব মেদিনীপুর
পরিবহন সচিব সৌমিত্র মোহন – ঝাড়গ্রাম
অনগ্রসরশ্রেণি কল্যাণ সচিব সঞ্জয় বনসাল – পশ্চিম বর্ধমান
পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথন – পূর্ব বর্ধমান
শিল্প সচিব পি মোহন গান্ধী – পুরুলিয়া
শ্রমসচিব অবনীন্দ্র সিং – বাঁকুড়া










spot_img

Related articles

কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন! দ্রুত কমছে এসআইআর-এ ভোটারহীন বুথ 

এসআইআর-এর ভোটারহীন বা ‘শুষ’ বুথগুলির সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে যে সংখ্যা ছিল ২২০৮,...

বহুতল সমস্যা সমাধানে সর্বদা পাশে রাজ্য সরকার: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বহুতল সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস পাশে থাকবে। আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার...

রাজ্যের শিক্ষক-কর্মীদের জন্য সুখবর: এবার মিলবে অতিরিক্ত ১০% মহার্ঘ ভাতা

স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল যে রাজ্যের সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক...

শিক্ষামন্ত্রী না থাকলে বিজয়ের গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হত না: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পর্ষদ সভাপতির

রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তা প্রমাণ...