অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) থেকে অ্যান্টাসিড, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের গুণমান পরীক্ষায় (CDSCO quality test) ব্যর্থ ৫৩টি নামী-দামি ওষুধ। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিক লিমিটেড (Hindustan Antibiotic Limited), কর্নাটক অ্যান্টিবায়োটিকস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ওষুধও পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। প্রশ্ন উঠছে, এত বড় বড় কোম্পানির ওষুধ নিয়েই যদি সংশয় তৈরি হয় তাহলে সাধারণ মানুষ ভরসা পাবেন কীকরে?

সিডিএসসিও (CDSCO) স্বাস্থ্য পরিষেবার কথা মাথায় রেখে প্রত্যেক মাসেই বিভিন্ন ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করে থাকে। যেভাবে অ্যান্টিবায়োটিক থেকে পেইন কিলার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে তাতে ওষুধের মধ্যেই যদি ভেজাল থাকে তবে তার পরিণাম যে কী মারাত্মক হতে পারে আঁচ করতে পারছেন ডাক্তার থেকে আমজনতা। প্রায় প্রত্যেকদিনের জীবনের সঙ্গী হয়ে যাওয়া প্যান-ডি, প্যারাসিটামল ৫০০, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ টেলমিসার্টান, ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্লিমেপিরাইডসহ ৫৩টি ওষুধ ‘নট অফ স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি’ তকমা পেয়েছে। দীর্ঘ তালিকায় রাষ্ট্রয়াত্তর সংস্থার ওষুধের নাম থাকায় তাদের গ্রহণযোগ্যতা বড় প্রশ্নের মুখে। সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে কি ছেলে খেলা চলছে? ফেল করা ওষুধ কোম্পানিগুলি অবশ্য দাবি করেছে কোন নিম্নমানের কাঁচামাল নাকি ব্যবহার করা হয়নি, বরং যে ব্র্যান্ডের ওষুধ পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে সেগুলো তাদের তৈরিই নয়।
