ভূমিধস পিছু ছাড়ছে না দার্জিলিংয়ের। ফের রাতে ভারী বৃষ্টি। আর তার জেরে দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় ধস নামল। বৃষ্টিতে বহু জায়গায় উপর থেকে জলের স্রোত নেমে আসছে। মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে অনেক জায়গায়। বিপদের প্রমাদ গুনছেন সাধারণ মানুষ।বলা যেতে পারে গত ২৪ ঘণ্টা টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দার্জিলিং।

উত্তরবঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি চলছে। গত কয়েক দিন ধরেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে৷ মধ্যে এক-দেড় দিন বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য কমেছিল।বুধবার রাতে ফের বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে। আর তাতেই শুরু হয়ে গিয়েছে ধস।

বৃহস্পতিবার ধস নেমে প্রাণও গেল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম রঘুবীর রাই (৭৮)। তিনি দার্জিলিংয়ের সুখিয়া ব্লকের প্লুঙ্গডুং গ্রাম পঞ্চায়েতের বুজুয়া গ্রামের বাসিন্দা।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে আচমকাই ধস নামে এলাকায়। সেই বাড়িতেই ছিলেন রঘুবীর। ধস নামতেই বাড়ির অন্য সদস্যেরা বাইরে বেরিয়ে এলেও রান্না ঘরে আটকে পড়েন বৃদ্ধ। সেখানে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তার। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সুখিয়াপোখরি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় ধস নামার খবর এসেছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা৷ তার জেরে সমস্যায় পড়েছেন গাড়ি চালকরা।বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিঙে ১৭৫.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। প্রবল বর্ষণের জেরে ভূমিধস হয়েছে দার্জিলিঙের রক গার্ডেন এলাকায়। রাস্তার একটা বড় অংশ ধসে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওই পথে। স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রক গার্ডেন।রক গার্ডেনকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত কিছু দিন আগেই নেওয়া হয়েছিল জিটিএ-র তরফে। তার পরেই এই ধসের ঘটনা ঘটল।

বহু এলাকায় পাহাড় থেকে ধস নামছে। বৃষ্টিতে রাস্তা ধুইয়ে গিয়েছে। উপর থেকে জল, কাদামাটির স্রোত নামছে। বেশ কিছু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে পর্যটক ও স্থানীয়দের দুর্গতির শেষ নেই।
