লক্ষীপুজোর আগের রাতে কৃষ্ণনগরে নাবালিকা পড়ুয়ার মৃত্যুতে (Krishnanagar Student dead) বাড়ছে রহস্য। আত্মহত্যা না খুন? ধোঁয়াশা তদন্তকারীদের মনে। মৃতার সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্যাটাসের পর এবার প্রকাশ্যে এল একটি অডিও ক্লিপ (Audio Clip)। রিপোর্ট অনুযায়ী, তরুণীর হোয়াটসঅ্যাপে আপলোড করা অডিয়ো বার্তায় আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়েছেন নাবালিকা। যদিও মৃতার মায়ের দাবি তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। মৃত্যুর আসল কারণ জানতে আপাতত ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে পুলিশ। পাশাপাশি অডিও ক্লিপের কণ্ঠস্বরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে কৃষ্ণনগরের তরুণী জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। অভিযুক্ত রাহুলকে তিনি সমাজমাধ্যমে ‘husband’ বলে পরিচয় দিয়েছেন। ঘটনা দিন রাহুলের ফোনের টাওয়ার লোকেশন মাঠের আশেপাশে পাওয়া গেলেও ধৃত জানিয়েছেন ওই দিন তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে দেখা হয়নি। বরং অন্য এক মহিলা বন্ধুর সঙ্গে রানাঘাটে ছিলেন তিনি। সেই তরুণীর মোবাইল টাওয়ার খুঁজে দেখছেন তদন্তকারীরা। পরিবারের দাবি মেনে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছিল, সেখানে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। পুলিশ মনে করছে প্রেমের সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমনের কারণেই এই কাণ্ড, তবে ঘটনাস্থল দুর্গাপূজা মন্ডপ নাকি আশেপাশের অন্য কোথাও, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে। তরুণী নিজেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়েছিলেন না কি অন্য কেউ তাঁর দেহে আগুন ধরান তা এখনও স্পষ্ট নয়।
