Wednesday, November 12, 2025

বাংলা তো জল হজম করার জায়গা: DVC-কে তীব্র আক্রমণ মমতার

Date:

Share post:

ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। এরই মধ্যে ফের বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ছে ডিভিসি। ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফের বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা। এই বিষয় নিয়ে ফের একবার DVC-কে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। বৃহস্পতিবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে বন্যা, আবার ডিভিসি গতকাল জল ছেড়েছিল। বাংলা তো জল হজম করার জায়গা হয়ে গিয়েছে।” কলকাতার নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কলকাতায় জল জমলেও নেমে যায়। পাম্পিং সিস্টেমের উন্নতি হয়েছে। ড্রেনেজ সিস্টেমের উন্নতি হয়েছে। তা ছাড়া পলি সরানোর কাজটাও আমরা করেছি। অনেক সময় বাড়ি তৈরি হচ্ছে। রাস্তায় ইট, বালি ফেলে রেখেছে। নর্দমা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের এটা বোঝা উচিত। যাতে নর্দমা বন্ধ না হয়। সাধারণ মানুষের বিপদ না হয়। কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে।”

গত তিনদিনে প্রায় ১ লক্ষ কিউসেক জল DVC-র পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও জল ছাড়তে হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়ার একাংশে দামোদর নদ কার্যত ফুঁসছে। পুজোর আগেই ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে হুগলির আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট, হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তার ফলে ওই এলাকায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ফের এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় উদ্বিগ্ন নবান্ন। বুধবারই রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে ডিভিসির চেয়ারম্যানের কথা হয়েছে। পরিস্থিতি নজরে রেখে সময় মতো রিপোর্ট জমা দিতে সেচ দফতর প্রধান সচিব মণীশ জৈনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, “ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমি মেদিনীপুর জেলায় রয়েছি। এখানকার পরিস্থিতি নজরে রাখছি। সেচ দফতরের প্রধান সচিব মণীশ জৈন ডিভিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আমরা সমস্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছি। গত বর্ষায় যে এলাকায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেগুলিও দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে।”

নবান্ন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় ও জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে দ্রুত যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়, তার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম যেমন, রেসকিউ গাড়ি, ইলেক্ট্রিক করাত, মই, মিনি জেনারেটর ইত্যাদি মজুত রাখা হচ্ছে। মঙ্গলবারই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) দাবি করেছিলেন, “প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ মজুত রয়েছে।”







spot_img

Related articles

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...

সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে চালু হচ্ছে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি নবান্নের 

সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে এবার থেকে রাজ্যের...

মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি! ‘নারীবিদ্বেষী’ শান্তনু ঠাকুরের ইস্তফার দাবি তৃণমূলের

বিজেপি বাংলাকে সম্মান করে না। এই বিজেপি মহিলাদেরও সম্মান করে না, করতে জানেও না। সেটা আরও একবার প্রমাণ...