মানুষ-পশুর সহাবস্থানের এক অনন্য নজির রাখছে পুরুলিয়া (Purulia)। আপাতভাবে বাঘের চারণভূমি না হওয়ায় বাংলার জঙ্গলমহলে বাঘের উপস্থিতি স্থানীয়দের কাছে সব সময়ই ভয়ের। তা সত্ত্বেও তিন-চারদিন ধরে বন দফতরের কর্মী আধিকারিকদের কথা মেনে নিজেদের ও ‘ঘর পালানো’ বাঘ জিনাতের নিরাপত্তা দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও বন দফতরের টোপ (bait) না গিলে মাঠে চরা ছাগল শিকার করতে যাচ্ছে জিনাত (Zeenat)। বন দফতরের আধিকারিকদের মতে বয়স কম হওয়ায় উত্তেজনা বেশি থাকে। ফলে এমন আচরণ করতে পারে জিনাত। যদিও জিনাতের আচরণ নিয়ে ধন্দে বন দফতরের তাবড় আধিকারিকরা।

উড়িষ্যার সিমলিপাল (Simlipal) থেকে পালিয়ে এসেছে তিন বছরের জিনাত। তার কারণ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কারো ক্ষতি না করে, শিকার করে ত্রাস না ছড়িয়ে ঝাড়খণ্ড, ঝাড়গ্রাম হয়ে পুরুলিয়ার রাইকা (Raika Hills) পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সে। তাকে বাগে আনতে তিনটি বন দফতরের দল এসেছে এপর্যন্ত। স্থানীয় বনকর্মীদের পাশাপাশি সুন্দরবন এলাকার বন দফতরের কর্মীরা সাহায্য করছেন জিনাতকে ধরতে। সুন্দরবনের (Sunderban) বাঘ নিয়ে পারদর্শী বন্দুকধারী বনকর্মীরা সেখানে রয়েছেন। সেই সঙ্গে সিমলিপাল (Simlipal) থেকেও উড়িষ্যার বন কর্মীদের দল এসেছে।
এত করেও ঘুম পাড়ানো যায়নি জিনাতকে (Zeenat)। বন দফতরের একাংশের আধিকারিকদের দাবি, ভুল পথে চলে এসেছে বাঘটি। সদ্য যৌবনে পা দেওয়া জিনাত তাই এখন সঙ্গীর (partner) খোঁজে। সিমলিপালে তাকে আনা হয়েছিল পশ্চিমের জঙ্গল থেকে। ফলে পুরোনো জঙ্গলে নতুন বাঘিনীকে কেউ পাত্তা দেয়নি। তবে সেখান থেকে বেরিয়ে যে লালমাটির জঙ্গলে সে এসেছে সেখানে বাঘ থাকে না।

এবার তবে প্রথম সঙ্গীর খোঁজে কতদূর যায় জিনাত সেটাই দেখার অপেক্ষায় বনকর্মীরা। যদিও তাকে ঘুম পাড়িয়ে (tranquilize) সিমলিপাল ফেরৎ পাঠানোই তাদের উদ্দেশ্য। তবে সপ্তাহখানেকের বেশি সময় ধরে জঙ্গলমহলে বাঘ ঘোরাফেরা করায় ফের এখানে বাঘের হানার আশঙ্কাও করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।

–

–

–

–

–

–

–
