রাজধানীতে এক দফাতেই নির্বাচনের ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের। ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা (Delhi Assembly Election) নির্বাচন হবে। ভোট গণনা (election counting) ৮ ফেব্রুয়ারি। একমাসেরও কম সময় হাতে রেখে নির্বাচন ঘোষণা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের (Rajiv Kumar)। সেই সঙ্গে ভোটার তালিকা (voter list) ও ভোটযন্ত্র (EVM) নিয়ে কোনও রকম নেতিবাচক সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার।

দিল্লির ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের জন্য় সব প্রার্থীই ঘোষণা করে ফেলেছে শাসকদল আপ (AAP)। কংগ্রেস (Congress) ও বিজেপির (BJP) পক্ষ থেকে তালিকা প্রকাশ হলেও এখনও ৭০ কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করেনি এই দুই জাতীয় দল। এরই মধ্যে সোমবার দিল্লির ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ECI)। এরপরই জাতীয় নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত তালিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিজেপি। তাঁদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, শাসকদল আপ একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে আচমকা দিল্লির ভোটার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। কার্যত কমিশনের বিরুদ্ধে আঙুল তোলে বিজেপি। অন্য়দিকে আপের দাবি, কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু এলাকা থেকে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।

মঙ্গলবার নির্বাচন ঘোষণা করতে গিয়ে সিইসি রাজীব কুমার (Rajiv Kumar) দাবি করেন, ফর্ম -৭ ছাড়া কোনও তালিকা সংশোধন সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে তিনি উল্লেখ করেন অন্তত ৭০টি ধাপে এই ভোটার তালিকা তৈরির কাজ হয়। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলিও (political parties) যুক্ত থাকে। কোনও ধরনের আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তাও রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হয়। ফলে কোনও নাম বাতিলের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে দাবি রাজীব কুমারের। পাশাপাশি ইভিএম (EVM) নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে যে প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে, সেই প্রসঙ্গেও বার্তা দেন নির্বাচন কমিশনার। তাঁর দাবি মধ্যরাতে বা পরের দিন ইভিএম বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই।

–

–

–

–

–

–

–
