বারবার নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করার চেষ্টায় মরিয়া আর জি কর ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। কখনও প্রিজন ভ্য়ান (prison van) থেকে চিৎকার করে। কখনও এজলাসে বিচারকের কাছে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে। আবার কখনও রুদ্রাক্ষের মতো ধর্মীয় বিশ্বাসের ধুয়ো তুলে শাস্তি থেকে পালানোর চেষ্টা চালিয়ে যায় সঞ্জয় (Sanjay Rai)। শনিবার রায় শোনানোর পরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফের সেই রুদ্রাক্ষ তুলে ধরে নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা চালায় সঞ্জয়। যদিও দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তার প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি রাখছে না তার দিদিও। তিনিও চাইছেন সাজা হোক।

ধর্ষণ খুনের মতো জঘন্য অপরাধের পরেও বিন্দুমাত্র অনুতাপ দেখা যায়নি সঞ্জয়ের মুখে। কখনই সে অপরাধের জন্য ক্ষমা চায়নি। অথচ তাকে নিজের সপক্ষে বক্তব্য পেশ করতে বলা হলে সে কোনও যুক্তিই দেখাতে পারেনি দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায়। শেষ পর্যন্ত রুদ্রাক্ষের মালাকে বাঁচার অবলম্বণ বানানোর চেষ্টা করে সঞ্জয়। শনিবার বিচারক (Judge) তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পরে সঞ্জয় দাবি করে, আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে। রুদ্রাক্ষের (rudraksh) মালা নিয়ে আমি এই অপরাধ করব।

অথচ বরাবর দুশ্চরিত্র সঞ্জয়ের নামে অভিযোগ করেছিলেন তার নিজের দিদিই। আর জি করের ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Rai) গ্রেফতার করার পরে সঞ্জয়ের দিদিই তার ভাইয়ের একাধিক মহিলা সংসর্গের কথা তুলে ধরেছিলেন। ভাইয়ের স্বভাবের জন্য দিদিরা তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন না বলেও সেদিন দাবি করেছিলেন সঞ্জয়ের দিদি। এরপরেও আদালতে নিজের দোষ ঢাকতে শনিবারও অজুহাত খুঁজতে থাকে সঞ্জয়।

যদিও সঞ্জয়ের দিদি প্রথম থেকে অপরাধী ভাইয়ের প্রতি যে মানসিকতা রেখেছিলেন, তার বদল শনিবারও হয়নি। প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনায় তিনি কেঁদে ফেললেও অপরাধীকে কোনওভাবেই প্রশ্রয়ের কথা ভাবেননি তিনি। তাঁর কথায়, আদালত (Sealdah Court) সঞ্জয়কে দোষী মনে হয়েছে, তাই শাস্তি দিয়েছে। আমার কিছু বলার নেই। তাঁর দাবি, দোষ করলে সে শাস্তি পাবেই। ভাইয়ের শাস্তি মকুবের জন্য কোনও উচ্চ আদালতে যাবেন না তিনি। সেই সঙ্গে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে নিজের ভাইয়ের কুকীর্তির জন্য এদিন ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।
–

–

–

–

–

–

–
