বাংলা নাট্যজগতের কিংবদন্তি এবার বড়পর্দায়। বিনোদিনী দাসীর লড়াই, আত্মত্যাগ, বঞ্চনার দগদগে ক্ষত ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রকে (Rukmini Maitra)। সিনেমার প্রচারে বারবার আবেগাপ্লুত হয়েছেন নায়িকা। সাত বছরের ফিল্মি ক্যারিয়ারের পাঁচবছর ধরে একটাই সিনেমা যাপন করে গেছেন মনে মনে। এবার সেই পরিশ্রমের ফলপ্রকাশ। ২৩ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে ‘বিনোদিনী, একটি নটীর উপাখ্যান’। শহরের এক প্রান্ত থেকে মফস্বলের অন্যপ্রান্তে প্রচারের ফাঁকেই গেরুয়া বসনে শনিবার বেলুড় মঠে হাজির রুক্মিণী মৈত্র, সঙ্গে পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়। প্রেসিডেন্ট মহারাজের আশীর্বাদ নেওয়ার পর উচ্ছ্বসিত পর্দার বিনোদিনী। বললেন, এটা পরম প্রাপ্তি।

আজ থেকে ১৪০ বছর আগে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের আশীর্বাদ পেয়েছিলেন নাট্য মঞ্চের কিংবদন্তি অভিনেত্রী বিনোদিনী দাসী। রামকমল বলেন, “ছবি মুক্তির আগে ‘চৈতন্য লীলার’ কীর্তন ‘হরি মন মজায়ে’ গানটি প্রকাশ করলেন বেলুড় মঠের প্রেসিডেন্ট মহারাজ পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ।” এই গান আর তার দৃশ্যায়ন সকলের মন ছুঁয়ে গেছে। বাংলার থিয়েটার ‘ক্যুইন’-এর চরিত্র আত্মস্থ করার জন্য বেজায় কসরত করতে হয়েছে রুক্মিণীকে। এবার নিজে হাতে সিনেমার পোস্টার লাগালেন দেওয়ালে। পাঁচ পাঁচটা বছর, একই চরিত্রের সঙ্গে সহবাস সহজ কথা নয়। যত সময় এগোচ্ছে ততই বিনোদিনীর মধ্যে মিশে যাচ্ছেন অভিনেত্রী রুক্মিণী।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–