Monday, August 25, 2025

চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে দলের পারফরম্যান্সে হতাশ অস্কার, কী বললেন তিনি?

Date:

Share post:

গতকাল ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে চেন্নাইয়ান এফসির কাছে ৩-০ গোলে হারে ইস্টবেঙ্গল এফসি। পয়েন্ট টেবিলে নিচে থাকা চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারেনি লাল-হলুদ। এই হারে মোটামুটি চলতি আইএসএল-এর প্লে-অফের আশা শেষ ইস্টবেঙ্গলের । আর দলের এই পারফরম্যান্সে হতাশ লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো। বলা ভাল ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল হেডস্যার।

গতকাল ম্যাচের পর দলের হার নিয়ে অস্কার বলেন, “ আমরা অনেক দেরীতে জেগেছি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভাল খেলেছি, সুযোগ তৈরি করেছি। দু’গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর চেন্নাইয়ানের নিজেদের অর্ধে বল ধরে রাখার প্রবণতা বেড়ে যায়। আমাদের কোনও জায়গাই দিচ্ছিল না ওরা। তবে এটা ঠিক আমাদের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স মোটেই ভাল হয়নি। বিশেষ করে বাঁদিকে। কোনর ও ইরফান ওই দিকটা দিয়ে যা খুশি তাই করছিল। মাঝমাঠ নয়, আমাদের সমস্যা ছিল বাঁ দিকে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান করি। এছাড়া দলের অনেকেই এই ম্যাচে তাদের সেরাটা দিতে পারেনি। হতাশাজনক পারফরম্যান্স হয়েছে।“

চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে প্রথম এগারোয় তিনটি পরিবর্তন করেন অস্কার। ম্যাচ শেষে লাল-হলুদ কোচের আফসোস মুম্বই ম্যাচের দল না ধরে রাখার। তাঁর মতে সেই দলকে চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে সেই দল মাঠে নামালেই ভাল হত। এই নিয়ে অস্কার বলেন, “দলে অনেকগুলো পরিবর্তন করা হয়েছিল। অনেকেই চোট সারিয়ে ম্যাচে ফিরেছে। সউলের মতো যারা চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেছে, তাদের পক্ষে চেন্নাইয়ানের শারীরিক ফুটবলের বিরুদ্ধে তীব্রতার সঙ্গে খেলা সম্ভব ছিল না। সউলদের বোধহয় এতটা সময় খেলানো উচিত হয়নি। গত ম্যাচের দলটাকেই এই ম্যাচে নামালে বোধহয় ভাল হত। চোট সারিয়ে ফেরা খেলোয়াড়দের শেষ দিকে নামালে বোধহয় ভাল হত। ওরা প্রায় সব ডুয়াল, সেকেন্ড বল, দৌড়ে আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। ওরা আমাদের চেয়ে গতি, শক্তি ও আগ্রাসনে এগিয়ে ছিল। প্রথমার্ধে আমরা ওদের খেলার তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারিনি। ধারাবাহিকতার অভাব এ মরশুমে আমাদের এক বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। অনেক ব্যক্তিগত ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে আমাদের। সেগুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে বসা হবে। কিন্তু অবশেষে এই হার দলের। জিতলে যেমন দলই জেতে, হারলেও তো দলই হারে।”

এদিকে চেন্নাইয়ানের কাছে ম্যাচ হেরে যে প্লে-অফের আশা শেষ , তা স্বীকার করে নেন অস্কার। এই নিয়ে লাল-হলুদ কোচ বলেন, “এখন থেকে আমাদের এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ নিয়ে ভাবতেই হবে। এবছর এটাই আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এছাড়াও সুপার কাপ আছে। জানি না, সেটা কবে হবে। আমাদের এখন লক্ষ্য আইএসএল টেবলের মাঝামাঝি জায়গায় থেকে শেষ করা এবং এএফসি কাপ ও সুপার কাপে সাফল্য। এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে আমাদের। এই হার আমাদের মানসিক শক্তিতে বড় আঘাত হেনেছে। ঘরের মাঠে, আমাদের সমান পয়েন্ট পাওয়া একটা দলের কাছে হার। আগামী সপ্তাহে কলকাতা ডার্বি রয়েছে। এখন ওই ম্যাচটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

আরও পড়ুন- Breakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস

spot_img

Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...