মহাকুম্ভে স্ত্রীকে খুন করে দিব্যি হারিয়ে যাওয়ার নাটক!গ্রেফতার স্বামী

একটি নিখোঁজ ডায়েরি সব রহস্যের সমাধান ঘটাতে সাহায্য করল

মহাকুম্ভে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী পুণ্যস্নান করতে যখন ব্যস্ত, তখন সেখানে খুন ঘিরে চাঞ্চল্য।মহাকুম্ভের(mahakumbha) ত্রিবেণী সঙ্গমের খানিকটা দূরে এই খুন ঘিরে ব্যাপক শোরগোল।জানা গিয়েছে, হোটেলের বাথরুমে পড়েছিল এক বধূর গলাকাটা, নিথর দেহ। হোটেলের কিছুটা দূরে একটি ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার হয় রক্তমাখা জামা। তদন্তে নেমে প্রথমে কুল কিনারা পাচ্ছিল না পুলিশ।শেষে একটি নিখোঁজ ডায়েরি সব রহস্যের সমাধান ঘটাতে সাহায্য করল।স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তার স্বামীকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম অশোক কুমার।দিল্লির ত্রিলোকপুরীর(trilokpuri) বাসিন্দা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কুম্ভে যান। বাড়িতে বলে গিয়েছিলেন, পুণ্যস্নান সেরে আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলি দেখে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই ফিরে এসেছিলেন অশোক।তিনি ফিরলেও সঙ্গে স্ত্রী ছিল না। তাকে জানতে চাওয়া হলে অশোক দাবি করেন, স্ত্রী মেলায় হারিয়ে গিয়েছেন।বহু জায়গায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে প্রয়াগরাজে(pryagraj) গিয়ে মীনাক্ষীর খোঁজ শুরু করেন তার ছেলে। পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই সূত্র ধরে খুঁজতে গিয়েই মীনাক্ষীকে খুনের রহস্য ফাঁস হয়। অশোককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় অশোক।

পুলিশকে অশোক জানিয়েছেন, তিনি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনমাস ধরেই মীনাক্ষীকে খুন করার চক্রান্ত করছিলেন।প্রয়াগরাজের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অভিষেক ভারতী জানিয়েছেন, যে হোটেলে অশোকরা উঠেছিলেন সেখানে কোনও প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়নি। ওই হোটেল থেকেই ফোন করে জানানো হয়, এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে।এরপরই দেহ শনাক্ত করার পর মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।