বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হওয়া বিল ক্লিন্টনের (Bill Clinton) সঙ্গে মনিকা লিউইনস্কির (Monica Lewinsky) বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে ২০২৫ সালে নতুন করে মন্তব্য করলেন হোয়াইট হাউসের তৎকালীন শিক্ষানবীশ। সম্প্রতি এক পডকাস্ট চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে মনিকা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের সেই সময় পদত্যাগ করা উচিত ছিল। যদিও পরবর্তীতে ক্ষমতার পরিবর্তনেই মসনদ থেকে সরতে হয় ক্লিন্টনকে। এত বছর পর প্রথম যৌবনের সেই বিতর্কিত যৌন সম্পর্ক (Sexual Relationship) নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির কথাই সাক্ষাৎকারে সেটাই প্রকাশ করেন সমাজকর্মী।

আজ থেকে বছর তিরিশ আগে ওভাল অফিসে শিক্ষাণবীশ হিসেবে যোগ দেন ২৪ বছরের মনিকা লিউইনস্কি। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টনের বয়স তখন ৪৯ বছর। অসামান্য সুন্দরী মনিকার প্রতি আকর্ষণ থেকে দ্রুত শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বিল। বিশ্বের এক নম্বর শক্তিধর দেশের শাসকের যৌন কেলেঙ্কারি ভাইরাল হতে খুব একটা বেশি সময় নেয়নি। এত বছর পর অ্যালেক্স কুপারের ‘কল হার ড্যাডি’ নামের পডকাস্ট চ্যানেলে মনিকা লিউইনস্কির সাক্ষাৎকারে উঠে এল সেসময়ের কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ। ৫১ বছরের সমাজকর্মীর কথায়, “সেসময় ওঁর উচিত ছিল পদত্যাগ করা। আমার মনে হয়, ওই সময়ে যা পরিস্থিতি হয়েছিল, তার মোকাবিলায় তাঁকে বলতে হতো – এগুলো কারও মাথাব্যথার বিষয় নয়, অথবা সোজা প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল।” লিউইনস্কি এই ঘটনার পর নিজেকে খানিকটা সময় দেন এবং ক্যারিয়ার তৈরি করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে মনোস্তত্বে স্নাতকোত্তর মনিকা বর্তমানে আমেরিকার বিখ্যাত সমাজকর্মী। জীবন সায়াহ্নে এসেও যে প্রথম জীবনের যৌন বিতর্কের কথা ভুলতে পারেননি তা তাঁর বক্তব্যে বেশ স্পষ্ট।

–

–
–

–

–

–

–

–

–
