২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা হয়। সেই সময় থেকেই হামাসকে গোপনে সমর্থন করছে মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা বা ইউএসএইড! এ বার ইউএসএইড এবং ফেডেরাল কর্মীদের বিরুদ্ধে আমেরিকা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভ্সের কমিটির বৈঠকেও একই অভিযোগ উঠল।অধিকাংশের দাবি, বাইডেন প্রশাসনের আমলে গত দেড় বছরে ১৭ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ পাঠানো হয়েছে হামাসকে।সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, শুধু হামাসই নয়, ভারতবিরোধী কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকেও পরোক্ষে মদত দিয়েছে ইউএসএআইডি। তার মধ্যে রয়েছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবা (এলইটি)-র একটি শাখা ফালাহ-এ-ইনসানিয়ত (এফআইএফ)। ভারতে ২৬/১১-র মুম্বই হামলার নেপথ্যে এই লস্করেরই হাত ছিল।

এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ইউএসএইড-এর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছে। ভারত ও আমেরিকা— দুই দেশেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে লস্কর-ই-তইবা, জামাত-উদ-দাওয়া এবং এফআইএফ-কে। এর মধ্যে প্রথম দু’টি গোষ্ঠী জম্মু ও কাশ্মীর-সহ ভারতের নানা প্রান্তে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে এই গোষ্ঠীগুলিকে অর্থসাহায্য করেছে ইউএসএইড।

প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পরেই ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক সাহায্য বন্ধের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। অনাহার, অপুষ্টি ও অন্যান্য দুরারোগ্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে শুরু করে বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া— সমস্ত কর্মসূচির জন্য তহবিল বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।

–

–

–

–

–

–

–

–
