গাড়ি পার্কিং নিয়ে বচসা, সেনা আধিকারিক-ছেলেকে বেধড়ক মারধর, সাসপেন্ড ১২ পুলিশ

মারের চোটে ওই সেনা আধিকারিকের হাত ভেঙেছে

গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত। সেনা আধিকারিক ও তার ছেলেকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল পাঞ্জাবের পাতিয়ালা। মারের চোটে ওই সেনা আধিকারিকের হাত ভেঙেছে। তার ছেলের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। আর গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। আর এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই কাঠগড়ায় পাঞ্জাব পুলিশ(punjab police)।

জানা গিয়েছে, ১৩ মার্চ ভোরে পাতিয়ালায় ঘটনাটি ঘটেছে। ওই সেনা আধিকারিকের নাম কর্নেল পুষ্পিন্দর বাথ। তিনি দিল্লির সেনা সদর দফতরে কর্মরত। অভিযোগ, ওইদিন পাঞ্জাব পুলিশের তিন ইনস্পেক্টর প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে ওই সেনা অফিসার ও তার ছেলেকে মারধর করেন। বর্তমানে দুজনেই পাতিয়ালার রাজেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আক্রান্তদের দাবি, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। অভিযুক্তদের আড়ালের চেষ্টা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাজেন্দ্র হাসপাতালের কাছে রাস্তার ধারে একটি খাবারের দোকানের সামনে গাড়ি থামান ওই সেনা আধিকারিক এবং তার ছেলে। সেই সময় সাদা পোশাকের তিন পুলিশ অফিসার এসে নিজেদের গাড়ি রাখার জন্য তাদের দুজনকে গাড়ি সরাতে বলেন।অভিযোগ, তাতে আপত্তি জানালে সেনা আধিকারিককে(army officer) ঘুষি ও লাথি মারে এক পুলিশ আধিকারিক। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার ছেলেকেও মারধর করা হয়।

সেনা আধিকারিকের ছেলের অভিযোগ, লাঠি, রড এবং বেসবল ব্যাট দিয়ে তাদের মারধর করা হয়েছে। কমপক্ষে ৪৫ মিনিট ধরে মারা হয়। প্রত্যেকেই নেশাগ্রস্ত ছিল। দু’দিন ধরে এফআইআর দায়েরের চেষ্টা করলেও, পুলিশ সাহায্য করেনি।ফোনে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। পাচ্ছি। তবে চাপের মুখে পড়ে পুলিশ শেষ পর্যন্ত পদক্ষেপ করেছে। সমালোচনা শুরু হতেই এই ঘটনায় ১২ জন আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে পাতিয়ালা পুলিশ।সিনিয়র পুলিশ অফিসার ড. নানক সিং বলেছেন, ১২ জন পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৪৫ দিনের মধ্যে ওই তদন্ত শেষ হবে।