বোলারদের ব্যর্থতাই ডোবাল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে(kkr)। নারিন(Sunil Narine), রাহানে(Ajinkya Rahane) এবং ভেঙ্কটেশরা ব্যাট হাতে লড়াইটা করলেও, শেষরক্ষা করতে পারেননি। লখনউ সুপার জায়ান্টসের ২৩৮ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ২৩৪ রানেই থামতে হল নাইট(KKR) বাহিনীকে। রিঙ্কু সিং শেষপর্যন্ত ক্রিজে থেকে লড়াই করার চেষ্টা করলেও, জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। ঘরের মাঠে ঋষভ পন্থদের কাছে হেরে আরও খানিকটা চাপেই পড়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক। নাইটদের এবার অন্যতম প্রধান শক্তিই স্পিন অস্ত্র। কিন্তু এদিনের ইডেনের পিচে সেভাবে স্পিনারদের জন্য কোনওরকম সুবিধা ছিল না। বরং শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের(lsg) দুই ওপেনার। মার্করাম এবং মিচেল মার্শের ওপেনিং পার্টনারশিপটই কার্যত ম্যাচের ভবিষ্যত্ লিখে দিয়ে গিয়েছিল। তাদের ৯৯ রানের ইনিংস। সেখানেই মিচেল মার্শের রান ৪৮ বলে ৮১। তিনি সাজঘরে ফিরতেই মাঠে শুরু নিকোলাস পুরানের ঝড়।

বরুণ চক্রবর্তী থেকে সুনীল নারিনরা সকলেই ব্যর্থ। হর্ষিত রানা, স্পেনসর জনসনরাও সেভাবে কিছু করতে উঠতে পারেননি। ৩৬ বলে পুরানোর ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। আর লেইসঙ্গেই লখনউ সুপার জায়ান্টসের বড় রানের রাস্তাটা কার্যত পাকা। শেষপর্যন্ত ২৩৮ রান করে লখনউ।

নাইট রাইডার্সও শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি। পাওয়ার প্লে ডিকক এবং নারিনও বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজেই ছিলেন। নারিন ফেরেন ১৩ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে। অজিঙ্ক রাহানে(Ajinkya Rahane) আসার পর থেকেই নাইটদের গিরে প্রত্যাশার পারদ চড়তে থাকে। সেইসঙ্গে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের(Venkatesh Iyer) ক্রিজে থাকা। কিন্তু রাহানেকে থামতে হয় ৬১ রানে। এর বেশ রমনদীপ থেকে রঘুবংশীরা, কেউই ভেঙ্কটেশকে যোগ্য সঙ্গত দিতে পারেননি। চাপের মুহূর্তে বড় শট খেলতে গিয়ে ভেঙ্কটেশকে থামতে হয় ৫৪ রানে।


রাসেল ব্যর্থ। রিঙ্কু চেষ্টা চালালেও শেষরক্ষা আর করা যায়নি। শেষ ওভারে নাইটদের জিততে হলে প্রয়োজন ছিল ২৪ রানের। রিঙ্কু চেষ্টা চালালেও শেষপর্যন্ত ২৩৪ রানেই থামতে হয় কলকাতা নাইট রাইডার্সকে।

–

–

–

–

–

–

–