ভোটবাক্স শূন্য হলেও ব্রিগেড ভরানো নিয়ে আশাবাদী সিপিএম (CPIM)। রবিবার ব্রিগেড ময়দানে বামেদের গণ সংগঠনের সমাবেশ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় মিছিল আসবে ময়দানে। ছুটির দিন হলেও কলকাতার বিভিন্ন অংশে যানজটের আশঙ্কা। মহানগরী সচল রাখতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন৷ মোতায়েন থাকছে প্রায় ৯০০ পুলিশ (Police)।

সিটুর তরফে ডাকা এই সমাবেশে যোগ দেবে সিপিএমের (CPIM) অন্যান্য গণ সংগঠনগুলি। লালবাজার সূত্রের খবর, ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন, পার্ক সার্কাস ময়দান, ভিক্টোরিয়া হাউস, এক্সাইড মোড়, খিদিরপুর মোড়-সহ আটটি জায়গা থেকে মিছিল করে ব্রিগেডে যাবেন বাম নেতা-কর্মীরা। ফলে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক পুলিশ-প্রশাসন। লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পাশাপাশি ময়দানে থাকবেন অন্য উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরাও।

মোট আটটি জায়গায় জমায়েতের পরে মিছিল করে ব্রিগেডে যাবেন বাম নেতা-কর্মীরা। এর পাশাপাশি কলকাতার উপকণ্ঠ থেকেও একাধিক ছোট মিছিলের আসার কথা। ফলে বিক্ষিপ্ত ভাবে শহরের বিভিন্ন অংশে বন্ধ হয়ে যেতে পারে যান চলাচল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে। সেখানে থাকবে ট্র্যাফিক পুলিশের অতিরিক্ত বাহিনী। এর মধ্যে ১৩টি জায়গায় ট্র্যাফিক গার্ডের এক জন অতিরিক্ত এসি-র নেতৃত্বে বাহিনী থাকবে। রবিবার ভোর থেকে ব্রিগেড সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন থাকবে পুলিশ বাহিনী।

ব্রিগেড সমাবেশে আসা গাড়ি রাখার জন্য ব্রিগেড সংলগ্ন নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ময়দান এলাকায় গাড়ি পার্কিং ছাড়াও এ জে সি বসু রোড, মেয়ো রোডের মতো কিছু রাস্তায় গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও খবর: সমর্থন নেই! পুলিশি অনুমতির দোহাই দিয়ে প্রত্যাহার নবান্ন অভিযান

এই সমাবেশকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, সিপিএমের কোনও ভিত্তি নেই। যাঁরা ওই সমাবেশে যাবেন, তাঁরাও ভোটটা বিজেপিকে দেবেন- খোঁচা কুণালের।

–

–

–

–

–
–

