প্রকাশ্যে হামলাকারীদের পরিচয়, নিরাপত্তা থেকে পর্যটন – ক্ষতির মুখে ভূস্বর্গ

পহেলগামের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীদের (terrorists) স্কেচ প্রকাশ করল জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। চার জঙ্গির নামও প্রকাশ করা হয়েছে। আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ, আদিল গুরু এবং আবু তালহা। হাই আল্যার্টে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। গোটা ঘটনায় ফের অনিশ্চয়তার মুখে কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প। প্রতিবাদে বুধবার বনধ রাজ্যজুড়ে।

হামলাকারীরা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের সদস্য। এটি নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার একটি শাখা। কমপক্ষে ৫-৬ জঙ্গি ছদ্মবেশে উপত্যকার চারপাশের ঘন পাইন বন থেকে বৈসারনে (Baisaran) এসে AK-47 দিয়ে গুলি চালায়। আর এই হামলাতেই প্রাণ গিয়েছে ২৬ জনের। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানি জঙ্গিরা কয়েকদিন আগেই উপত্যকায় ঢুকেছিল। লস্কর-ই-তৈবার (Laskar-e-taiba) কমান্ডার সাইফুল্লাহ কাসুরি ওরফে খালিদকে পহেলগাঁওয় গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে (Pahalam) ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর ঘটনা। বৈসারণে (Baisaran) নিরীহ পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জন পর্যটকের। ঘটনা দেশে-বিদেশে নিন্দার ঝড়। তারই মধ্যে বারামুলায় ২ জঙ্গিকে খতম করে বর্ডারে অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখল সেনা।

গোটা ঘটনায় সুদূরপ্রসারী ক্ষতির মুখে জম্মু ও কাশ্মীর। একদিকে প্রশ্ন উঠেছে কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিয়ে। পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় বিরাট গলদ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে সুদূর প্রসারী ক্ষতির মুখে কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প। জঙ্গি হামলার পরে দীর্ঘদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে সব পর্যটনস্থান। মঙ্গলবার থেকে বিক্ষোভে পথে নেমেছেন কাশ্মীরের মানুষ। বুধবার পহেলগাম (Pahalgam) ও ডোডা (Doda) এলাকায় সম্পূর্ণ বনধ পালিত হয় হামলার প্রতিবাদে। বনধকে সমর্থন জানায় শাসকদল ন্যাশানাল কনফারেন্স (National Conference)।