পহেলগাম হামলার (Pahelgam Attack) এক পক্ষকালের মাথায় ভারতের প্রত্যাঘাতে খুশি দেশবাসী। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিনোদন জগত, ক্রীড়া জগত, শিল্প ও রাজনৈতিক জগতের সকলেই ভারতীয় সেনার (Indian Army) সফল পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিন্দুর’ (Operation Sindoor) পাকিস্তানের ৯ টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। বুধবার কেন্দ্রের তরফে একাধিক বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার এই নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক (All Party Meeting) ডাকা হয়েছে।সেনাবাহিনীর এই অভিযান সংক্রান্ত খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালালে ভারত কীভাবে জবাব দেবে বা কোন রণকৌশল তৈরি করা হচ্ছে তা নিয়েও সকলের মতামত জানা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) নিজে উপস্থিত থাকবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। সকাল এগারোটায় সংসদের লাইব্রেরী কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার ভারতীয় সেনা এবং বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামলার মূল লক্ষ্য ছিল জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা। কোনও সেনা ক্যাম্পে হামলা চালানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়নি। তাই সঠিক হোমওয়ার্ক করে সুপরিকল্পিতভাবে বেছে বেছে বাহাওয়ালপুরের জইশ-ই-মহম্মদের সদরঘাঁটি, মুরিদকের লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের তরফে কোনও ক্যাজুয়ালটির খবর নেই। এই অভিযানে ‘স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল’ এবং ‘হ্যামার বম্ব’ ব্যবহার করেছে ভারত। সেনাবাহিনীর দক্ষতাকে কুর্নিশ জানিয়েছে সরকার-বিরোধী সব পক্ষ। কাজ এখনও শেষ হয়নি। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে মক ড্রিল (Mock Drill)। অপারেশন সিন্দুরের (Operation Sindoor) পর পাকিস্তানি প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। কিছুটা হলেও আতঙ্কিত আমজনতা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত না হয়ে শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানিয়েছেন, দেশের সুরক্ষায় কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে রাজ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে ‘অপারেশন সিন্দুর’ বা ভারতীয় সেনা সম্পর্কিত কোনও ভুয়ো পোস্ট বা তথ্য না ছড়ানো হয় তা নিয়েও গাইডলাইন জারি করা হয়েছে।

–
–

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–

–