জনপ্রিয়তা-বিতর্ক সব নিয়ে সমাপ্ত হল CPIM-এর দাপুটে শ্রমিক নেতা নেপালদেব ভট্টাচার্যের (Nepaldev Bhattacharya) জীবন। দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েও ফের ফিরে এসেছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। সোমবার রাত ১টা ২৫ মিনিটে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় বছর চুয়াত্তরের সিআইটিইউ-এর বর্ষীয়ান নেতার।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ প্রথমে CITU রাজ্য দফতর শ্রমিক ভবনে নিয়ে যাওয়া হলে শ্রদ্ধা জানান বাম নেতৃত্ব৷ সেখান থেকে দেহ যায় সিপিএমের রাজ্য কমিটির দফতর মুজফ্ফর আহমেদ ভবনে৷ সেখান থেকে SFI রাজ্য দফতর দীনেশ মজুমদার ভবনে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরে দত্তবাগান মিল্ক কলোনিতে তাঁর বাসভবন ‘বেলগাছিয়া ভিলায়’ নিয়ে যাওয়া হয় শেষ শ্রদ্ধা জানানো জন্য৷ সিআইটিইউ-র জেলা দফতর ব্যারাকপুরেও নিয়ে যাওয়ার হয় দেহ। ভাটপাড়া শ্মশানেই তাঁর শেষকৃত্য।

১৯৫০ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভাটপাড়ায় জন্ম নেপালদেব ভট্টাচার্যের (Nepaldev Bhattacharya)৷ তিন দফায় বাম ছাত্র সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন। তার মধ্যে প্রথম দু-দফায় এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন এমএ বেবি। তৃতীয় দফায় সংগঠনের তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন প্রয়াত বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। এরপর ১৯৮১ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন বর্ষীয়ান এই CPIM নেতা ৷ কিন্তু দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ১৯৯৭ সালে এই লড়াকু নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে, দল তাঁকে ছাড়লেও তিনি অন্য কোথাও যাননি। সিপিএমের ইতিহাসে বেনজির ভাবে ২০০৩ সালে ফের সিপিএমে সদস্যপদ ফিরে পান তিনি। রাজ্য কমিটির সদস্যও হন। বিতর্ক আর লড়াকু নেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা দুটো নিয়েই ছিলেন নেপালদেব ভট্টাচার্য। সেই কারণে তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–