নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে শনিবার দেশের সেনা জওয়ানদের প্রতি সম্মান এবং শহিদতর্পণ কর্মসূচিতে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রতিটি জেলায়, টাউনে, ব্লকে দুপুর তিনটে থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই কর্মসূচি জারি রইল। টানা দু’দিন চলবে এই কর্মসূচি। আগামী কাল, রবিবারও একই সময়ে রাজ্য জুড়ে পালিত হবে এই কর্মসূচি।

এদিন কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে নেতা-মন্ত্রীরা নিজেদের এলাকায় মিছিল-মিটিং করেন। উত্তর কলকাতায় আহিরিটোলায় মিছিল করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। দক্ষিণ কলকাতায় নিজের পার্টি অফিসের সামনে থেকে মিছিল করেন জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমার। খিদিরপুর অঞ্চলে মিছিল করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এছাড়াও কলকাতা বিধাননগর কর্পোরেশন এবং হাওড়ার প্রতিটি ওয়ার্ডে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। উত্তরবঙ্গেও প্রতিটি জেলায়, ব্লকে নেতা-মন্ত্রীদের এই কর্মসূচি পালনে রাস্তায় দেখা গিয়েছে। শুধু এ-রাজ্যেই নয়, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং অসমেও সেনা সম্মান ও শহিদতর্পণ কর্মসূচি পালন করেছেন তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গিরা যেভাবে নিরীহ ভারতীয়দের খুন করেছে, তার পাল্টা হিসেবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ হয়েছে। সেখানেও অনেক সেনা শহিদ হয়েছেন। একইভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবল পরাক্রমে ছত্রখান হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের ডেরা। দেশের সেনা জওয়ানদের এই আহুতি এবং বীরগাথাকে সম্মান জানিয়েই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচির নির্দেশ দিয়েছেন। দলীয় তরফে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি সার্কুলার জারি করে, কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ এই কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছিলেন। সেখানে স্পষ্ট বলা ছিল, কোনওরকম রাজনৈতিক বক্তব্য বা স্লোগান এই কর্মসূচিতে কোনও নেতা-মন্ত্রী রাখবেন না। সেই নির্দেশ মেনেই কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য মিছিল বা মিটিংয়ে রাখা হয়নি। স্লোগান উঠেছে, ভারতীয় সেনা জওয়ানদের জন্য আমরা গর্বিত। আর শহিদদের প্রতি রইল আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান। দলের নির্দেশ ছিল, সাধারণ মানুষের অসুবিধা না করে, যানবাহনের সমস্যা না করে ট্রাফিক জ্যাম না করে এই মিছিল এবং মিটিং করতে হবে। দলের প্রতিটি সদস্য এবং কর্মীরা অক্ষরে অক্ষরে সেই নির্দেশ মেনেই এই কর্মসূচি পালন করেছেন।

আরও পড়ুন – ইট দিয়ে খুন! ১৪ বছর পর যাবজ্জীবন সাজা অভিযুক্তর

_

_

_
_

_

_

_

_

_

_

_

_
