দার্জিলিং টি নিয়ে নতুন শিল্প ভাবনা। সোমবার, উত্তরের শিল্প সম্মেলনে দার্জিলিং চায়ের ব্র্যান্ডিং-এৎ প্রস্তাব দিলেন লক্ষ্মী টি’র কর্ণধার রুদ্র চট্টোপাধ্যায় (Rudra Chattopadhyay)। তাঁকেই নেতৃত্বে রেখে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে দার্জিলিং চায়ের সঙ্গে অন্যান্য উপকারি উপাদান মিলিয়ে চা তৈরির পরামর্শ দেন মমতা।

র্জিলিং ব্র্যান্ড ব্যবহার করে পড়শি দেশ চা-এর ব্যবসা করছে। এদিন শিল্প সম্মেলেন উষ্মা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সেই দেশের নাম বলব না। তবে বিষয়টা জানি। ওরা ভেজাল মিশিয়ে ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে ব্যবসা করছে। টাস্ক ফোর্স তৈরি করে দিয়েছি। ওরা বিষয়টা দেখছে। মলয় ঘটক আছেন। আমরা ইতিমধ্যেই এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছি। ল্যাবরেটরি তৈরি করে পরীক্ষা করে তবেই এখানে ঢোকানো হবে সেই ব্যবস্থা করছি।“

দার্জিলিং চা (Darjeeling Tea) নিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরে রুদ্র চট্টোপাধ্যায় (Rudra Chattopadhyay) জানান, “দার্জিলিং চা বাংলার ও দেশের সবথেকে বড় ব্র্যান্ড। আমি জন্ম থেকে উত্তরবঙ্গে আসছি। আমাদের ফুলবাড়ি বলে একটা বাগান আছে যেখানে ছোটবেলা থেকে যেতাম। দার্জিলিং চায়ের ব্র্যান্ডিং এখান থেকেই করতে হবে। ৫০ বছর আগে সেটা জার্মানিতে হত, এখন অন্যান্য প্রদেশে হচ্ছে। দার্জিলিং থেকে দার্জিলিং চায়ের ব্র্যান্ডিং করুন যেমন আমরা মকাইবাড়ির করছি। আমাদের সাথে সহযোগিতা করে আপনাদের বাগানের নাম দিয়ে আমাদের বা আপনাদের নিজেদের দোকানে বিক্রি করুন, শিলিগুড়িতে বা দার্জিলিঙে বিক্রি করুন। এখানে এই চায়ের যা উৎপাদন তাতে এখানেই ১০০ ভাগ খরচ হয়ে যাবে। এটা দার্জিলিংকে প্রচার করার একমাত্র উপায়। আমরা যদি ভাল চা তৈরি করি তাহলে এই যেসব চা বাইরে থেকে আসছে আমাদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না। আমরা ভালো গুণমানের চা বানানোর দিকে নজর দিলেই সব হবে। মকাইবাড়ি একটা বাগানবাড়ির নাম, আরও ৮৭টি বাগান আছে। সবাই নিজের নাম দিয়ে প্রচার করুক আর তার জন্য যা করতে হবে আমি পাশে আছি।“

বিভিন্ন বাগান মালিকদের নিয়ে কমিটি গড়ার সেই প্রস্তাবকে সবুজ সংকেত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই কমিটি লিড করবে রুদ্র।

এর পরেই বিভিন্ন স্বাদের হার্বাল টি তৈরির পরামর্শ দেন মমতা। বলেন, “দার্জিলিং চায়ের আলাদা এক ধরনের গন্ধ আছে। আজকাল অনেক ধরণের চা হয়, জিঞ্জার টি, লেমন টি, টারমারিক টি। তাই ওটারও একটা ব্র্যান্ডিং হোক। যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা এই ধরণের চা বেশি খাবে। দার্জিলিং চায়ের নামেই ব্র্যান্ডিং করুন।“ তিনি রুদ্র চট্টোপাধ্যায়কে প্রস্তাব দেন, “দার্জিলিং চায়ের সাথে মধু ও লেবু দিয়ে হতে পারে নতুন ধরণের চা। বাগানের মালিকদের নিয়ে একদিন বসে গেট টুগেদারের মাধ্যমে আলোচনা করে এটার সমাধান করো।“
আরও খবর: উত্তরেও কনভেনশন সেন্টার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক থেকে ভল্ভো বাস: উন্নয়নে একগুচ্ছ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভোটের আগে চা বাগান খুলে দেবে বলবে আর ভোট শেষ হলেই সেটা বন্ধ করে দেবে, এটা একেবারেই চলবে না। কেন্দ্রের শ্রমমন্ত্রককে গিয়ে জানান, আমাদের ঘেরাও করতে বাধ্য করবেন না। ছোট চা বাগানের উপর অনেক মানুষ নির্ভরশীল, অনেক শিশুর জীবন নির্ভর করছে। মলয়কে ও গৌতমকে বলব এই সমস্যার সমাধান দ্রুত করতে।“
–

–
–

–

–

–

–

–
