চাকরিহারা শিক্ষকদের নিয়ে দুমুখো রাজনীতি বামপন্থী নেতাদের। একদিকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন মঞ্চে গিয়ে সহানুভূতি দেখানো, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার যখন তাঁদের চাকরি দিচ্ছে তখন মামলা করে তা আটকানোর চেষ্টা। এটাই হল সিপিএমের (CPIM) আসল চেহারা। এই ভাষাতেই মঙ্গলবার সিপিএমের মেকি সহানুভূতির পর্দাফাঁস করল তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এদিন সাংবাদিকদের সামনে একের পর ছবি তুলে ধরেন।

আগেও এসএলএসটি (SLST) চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে সিপিআইএম নেতাদের যাওয়ার ছবি দেখিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এদিনও দেখা যায় কোনও ছবিতে সুজন চক্রবর্তী, কোনওটায় ফিরদৌস শামিম, কোনওটায় কলতান দাশগুপ্তরা রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চে। তাঁদের ছবি দেখিয়ে কুণাল বলেন, এ-দুটো একসঙ্গে কীভাবে চলতে পারে? মঞ্চে গিয়ে তাঁরা বলছেন তোমরা যোগ্য, তোমাদের চাকরি হওয়া উচিত। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন তাঁদের চাকরি দিচ্ছেন তখন তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করছে, এই হচ্ছে সিপিএম (CPIM)। এটাই ওদের আসল চরিত্র। এটা আসলে বিচার ব্যবস্থার অবমাননা। সাধারণ গরিব মানুষের সঙ্গে যদি এই দ্বিচারিতা হয় তাহলে মানুষ কোথায় যাবে? কখনও এক পক্ষের মামলা লড়তে যাচ্ছেন, আবার যখন সরকার চাকরি দিতে চাইছে তখন অন্য পক্ষের হয়ে আদালতে দাঁড়িয়ে পড়ছেন এঁরাই। এ কেমন দ্বিচারিতা!

এ-প্রসঙ্গে কুণাল আরও বলেন, এসএলএসটি (SLST) শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার প্রার্থীদের ওই ঘটনায় আদালত অবমাননা হয়েছে কিনা তা আদালত ঠিক করবে। আমি অন্তত কিছু করিনি সেটা বলতে পারি। আদালত চত্বরে এই ছেলেগুলি যদি বিক্ষোভ করে থাকে, যদি কোনও বিচারপতিকে আপত্তিকর কিছু বলে থাকে, তা অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে। আমি কোনও অবস্থায় এসব সমর্থন করি না। কিন্তু আইনজীবীদের এই দ্বিচারিতা নিয়ে কী বলবেন? জানি তাঁদের পেশাগত স্বাধীনতা আছে৷ কিন্তু নৈতিক স্বাধীনতা আছে কি, প্রশ্ন তোলেন কুণাল।

–

–

–
–

–
–

–

–

–

–

–
