Thursday, August 21, 2025

পাক সন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত কাশ্মীরবাসীর পাশে আছি, পুঞ্চের পর রাজৌরিতে গিয়ে সাহায্যের আশ্বাস তৃণমূলের

Date:

Share post:

অতর্কিতে পাকিস্তানের গোলা-গুলি বর্ষণে সন্ত্রস্ত কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী পুঞ্চ-রাজৌরিসহ একাধিক এলাকা। পহেলগাম(Pahalgam) পরবর্তী হামলাতেও বহু সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। দলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশে সেইসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা(TMC Representative)। পুঞ্চের পর শুক্রবার রাজৌরিতে স্বজনহারা ও ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে গিয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন। সেইসঙ্গে সোজাসাপটা জানিয়ে দিলেন, আপনারা একা নন, গোটা দেশ আপনাদের পাশে আছে, বাংলার মানুষ কাশ্মীরের পাশে আছে।

তৃণমূলের প্রতিনিধিদের কথায়, নিরীহ মানুষদের তো কোনও দোষ ছিল না, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তাঁদের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁদের কষ্টে সমব্যথী। তৃণমূলের প্রতিনিধিদের এই কথায় আপ্লুত কাশ্মীরবাসী।
তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্য এদিন রাজৌরিতে পৌঁছে পাক গোলাগুলি বিধ্বস্ত অঞ্চল পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখেন। পাক হানায় আহতদের দেখতে রাজৌরির জেলা হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করেন। আহতদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে নিহত হয়েছেন রাজৌরির অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার রাজকুমার থাপা। তৃণমূলের প্রতিনিধিদল তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জানায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার পুঞ্চে গিয়ে পাক গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ান ডেরেক ও’ব্রায়েন(Derek o’brien), সাগরিক ঘোষ, মানস ভুঁইয়া(Manash Bhuia), নাদিমুল হক ও মমতাবালা ঠাকুররা(Mamatabala Thakur)। সান্ত্বনা দেন স্বজনহারাদের। পুঞ্চবাসী নিজেদের সুবিধা-অসুবিধা ভাগ করে নেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। শুক্রবার রাজৌরিতেও দেখা গেল সেই একই চিত্র। কাশ্মীরের মানুষজন জানালেন গ্রামে কোনও বাঙ্কার নেই, পর্যাপ্ত চিকিৎসার সুবিধা নেই।

প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য মানস ভুঁইয়া বলেন, “পুঞ্চে আগে কখনও এভাবে গোলাবর্ষণ হয়নি। এবার সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। সব ধর্মের সব সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি ক্ষতিগ্রস্তদের সহমর্মিতা জানাতে, তাঁদের পাশে থাকতে। কাশ্মীরের মানুষ একা নন, আমরা সবাই তাঁদের সঙ্গে আছি”।

প্রতিনিধি দলের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় পাক-গোলাগুলিতে নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য সরকারের তরফে সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়া, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, স্কুল-কলেজ পুনর্নির্মাণ, সবেতেই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরের সরকার। এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া উচিত বলেই আমরা মনে করি।

spot_img

Related articles

পর্দায় এবার রাজশেখর বসুর জীবন, আসছে ‘পরশুরাম, দ্য আনটোল্ড স্টোরি’

পরিচালক অভিজিৎ পাল ও তাঁর বন্ধুদের প্রযোজনায় আসছে রাজশেখর বসুর (Rajshekhar Basu) জীবন নিয়ে প্রথম তথ্যচিত্র ‘পরশুরাম, দ্য...

নেপালের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে মোদি! চিন-বাণিজ্য ইস্যুতে ‘নতুন’ সীমান্ত সমস্যা

চীনের সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্য শুরু করতে গিয়ে একের পর এক ধাক্কা ভারতের উপর। একদিকে ভারত চিনের বাণিজ্যিক...

২০৩০-এর আগে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে ৫০ শতাংশ: প্রতিশ্রুতি ParaSafe-এর

স্বাধীনতা দিবসে কলকাতায় রোড সেফটি এক্সপেরিয়েন্স জোন চালু করে পূর্ব ভারতে যাত্রা শুরু করেছে প্যারাসেফ (ParaSafe)। উদ্ভাবনী ও...

আমাদের বেতন কোথায়: নীতীশকে দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা

ভোটমুখী বিহারে মিথ্যে প্রচার চালিয়েই ফের একবার গদি ধরে রাখার চেষ্টায় জেডিইউ (JDU) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)।...