নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগের পরই নড়েচড়ে বসেছে। দেশের সর্বত্র কমিশনের ভুলে যে ব্যাপক গরমিল হয়ে রয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েই নতুন করে তালিকা যাচাই শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় সরকারি আধিকারিকদের তরফ থেকে ভুলের বিষয়গুলি নিয়েও সজাগ হয়েছে কমিশন। বাংলা থেকে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা অধিকারিকদের উপর জেলাশাসকদের (DM) সারপ্রাইজ ভিজিটের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। পাছে ভুল ধরা পড়ে, তাই সাত তাড়াতাড়ি ভোটার তালিকা গরমিলকে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর (CBI) হাতেই রাখার নিদান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তবে এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder) শায়েস্তা করতে সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, কটাক্ষ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের।

রাজ্যের সরকারি কর্মীরা যাতে ভোটার তালিকা তৈরিতে কোনওরকম ঢিলেমি না করেন, তা নিয়ে নজরদারির নির্দেশ উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক সভা থেকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bnerjee)। সেই নজরদারি জোরালো হতেই দেখা গেল, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী কোয়েল মজুমদারের নাম রাজ্যের দুই জায়গায় ভোটার তালিকায়। এই নিয়ে একদিকে বিজেপিরই একটি শাখা সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

চলতি মাসের শেষেই রাজ্যে আসছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা মোদির সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড অমিত শাহ। তার আগেই সুকান্তর মজুমদারের স্ত্রীর ভোটার তালিকা গরমিল চাপে রেখেছে রাজ্যের বিজেপির ট্রেনি সভাপতিকে। এই পরিস্থিতিতে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। রাজ্য সভাপতির দুঃসময়ে তাঁর পাশে না দাঁড়িয়ে ফের ভোটার তালিকা নিয়ে সিবিআই (CBI) তদন্ত চেয়ে বসেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

সেখানেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের দাবি, এই সুযোগে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার তালে রয়েছেন শুভেন্দু। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, সিবিআই যদি তদন্ত করতে আসে তাহলে প্রথম সিবিআই-এর তো সুকান্ত মজুমদারের বাড়ি যাওয়া উচিত। সুকান্ত মজুমদারকে ফাঁসানোর জন্য শুভেন্দু অধিকারী সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি করেছেন। সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রীর দুটো জায়গায় নাম আছে ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে। শুভেন্দু মুখে বলতে পারছেন না, সুকান্ত মজুমদারকে ধরো। ঘুরিয়ে বলছেন, যেখানে ভোটার তালিকায় কারচুপি সেখানে সিবিআই তদন্ত। এটা হল কঁহি পে নিগাহে, কঁহি পে নিশানা।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–