রাজ্যে মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতার পথে এক ঐতিহাসিক সাফল্যের নজির গড়ল পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রাজ্যজুড়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে রেকর্ড ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ। এই অর্থে উপকৃত হয়েছেন ১০ লক্ষেরও বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা, যাঁরা রাজ্যের গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অংশ।

পঞ্চায়েত দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এবারই প্রথম প্রতিটি গোষ্ঠীর গড় ঋণের পরিমাণ ৩ লক্ষ টাকা ছুঁয়েছে। তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে গড় ঋণ ছিল ২.৭ লক্ষ এবং ২০২২-২৩ সালে ২.২৯ লক্ষ। ২০১০ সালে এই অঙ্ক ছিল মাত্র ৪৬ হাজার টাকা এবং তখন গোষ্ঠীগুলির মোট ঋণ ছিল ৫৩০ কোটি টাকা। এই অভাবনীয় অগ্রগতি রাজ্য সরকারের বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহিলাদের স্বনির্ভর করার অঙ্গীকারের প্রতিফলন বলে মনে করছে প্রশাসন। বর্তমানে ঋণ বিতরণের নিরিখে বাংলা দেশজুড়ে দ্বিতীয়, শুধু অন্ধ্রপ্রদেশের পিছনে।

২০২০-২১ অর্থবর্ষেও রাজ্য সরকার ১১,৯১৩ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছিল। বর্তমানে রাজ্যে ২৫টি কৃষি সমবায়কে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে এবং মহিলাদের হাতে কৃষি যন্ত্র পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ক্লাস্টার ভিত্তিক উদ্যোগ চালু হয়েছে। পাশাপাশি নিয়মিত উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ শিবিরও আয়োজন করা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গ্রামীণ জীবিকা মিশন ‘আনন্দধারা’ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠনের সময় ৩০ হাজার টাকা প্রাথমিক অনুদান দেওয়া হয়। ছ’মাস পরে ভালো পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ১.৫ লক্ষ টাকা ও পরে আরও ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থসাহায্য মিলছে। এই ধারাবাহিক উদ্যোগ গ্রামীণ মহিলাদের জীবিকা, আত্মবিশ্বাস ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের শক্তিশালী ভিত গড়ে তুলছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন – ‘ভুয়ো’ সংস্থার নামে বাঁকুড়ায় বাসিন্দাদের তথ্য সংগ্রহ! ধৃত ৫, ফের সতর্ক করলেন কুণাল

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_