রাজ্যে জলাভূমির চরিত্র বদল করা আইনত নিষিদ্ধ। জলাভূমি (wetland) ভরাটের অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে বলে পরিবেশমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) জানিয়েছেন। বিধানসভায় আজ বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, জলাভূমির উপর বালি বা মাটি ফেলে তার প্রকৃতি নষ্ট করার চেষ্টা করা হলে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আওতায় তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

রাজ্য সরকার জলাভূমি রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই বিষয়ে কোনওরকম শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) জানান, জলাভূমি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য গঠিত হয়েছে স্টেট ওয়েটল্যান্ড অথরিটি (State Wetland Authority)। প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক স্তরে তৈরি করা হয়েছে জেলা মনিটরিং কমিটি। জিআইএস ও ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি চালানো হচ্ছে।

বর্তমানে রাজ্যে ২৬টি নোটিফায়েড জলাভূমি রয়েছে। আরও ১৯টি জলাভূমির নাম কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের কাছে রামসার সাইট ঘোষণার জন্য পাঠানো হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জলাভূমিকে ইতিমধ্যেই সংরক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।

সম্প্রতি রাজ্যের নানা প্রান্তে জলাভূমি বুজিয়ে নির্মাণের একাধিক অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। ব্যারাকপুরের ৩৫টি রেকর্ডেড জলাশয় ভরাটের অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন পবন সিং ও শংকর ঘোষ। তার জবাবেই এই তথ্য দেন পরিবেশ মন্ত্রী।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–