ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল কসবা ল কলেজের সামনে সোমবার ফের উত্তেজনার আবহ। কিন্তু অভিযোগ, মূল ইস্যু ছাত্রীর উপর যৌন হিংসা নয়, বরং ‘কে আন্দোলনের মুখ’—তাই নিয়েই চলছে দড়ি টানাটানি। ‘আন্দোলনের ফুটেজ খাবে কে’—এই প্রশ্ন ঘিরেই কার্যত হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি এবং চুলোচুলি শুরু হয়ে যায় বিজেপি ও রাত দখল মঞ্চের সদস্যদের মধ্যে।

সোমবার দুপুরে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম কলেজে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই সেই রাজনৈতিক রসায়ন আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, যার আগতিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পারদ চড়ে।

অন্যদিকে, বিরোধী রাজনৈতিক ছাতার নিচে থাকা একাধিক ছাত্র ও সমাজকর্মী সংগঠন রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি এখানে রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে একটি স্পর্শকাতর ইস্যুকে ব্যবহার করছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বিজেপি সমর্থকেরা যখন কলেজ গেটে জড়ো হন, তখনই পালটা এসে হাজির হন প্রতিবাদকারী সংগঠনের সদস্যরাও। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় স্লোগান যুদ্ধ। কিছুক্ষণের মধ্যেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে।

এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে আন্দোলনের স্বচ্ছতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, “যেখানে এক ছাত্রীর ধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগ রয়েছে, সেখানে তার বিচারের প্রশ্ন চাপা পড়ে যাচ্ছে এই রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও মঞ্চ দখলের কৌশলে।”

তৃণমূল কংগ্রেস-সহ শাসক শিবির এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে বলেছে, “আন্দোলনটা কে করবে, কার ব্যানারে ফুটেজ যাবে—তা নিয়েই এখন ব্যস্ত বিরোধীরা। প্রকৃত অপরাধ ও নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ানোর বদলে চলছে রাজনৈতিক দখলদারি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও পক্ষই চাইছিল না, তাদের অবস্থান পিছিয়ে থাকুক। কারা আগে প্রতিবাদে এসেছে, কে সংবাদমাধ্যমের ফোকাসে থাকবে—সেই নিয়ে টানাপোড়েনের ইঙ্গিত মিলেছে উপস্থিত জনতার কথাতেই।

আরও পড়ুন – ধর্ষণের মীমাংসায় ৫০ হাজার! বিজেপি নেতার মন্তব্য ঘিরে তীব্র ক্ষোভ ধূপগুড়িতে

_

_

_

_

_
_
_
_
_