ফের থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা। নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়তংতার্ন শিনাওয়াত্রাকে (Paetongtarn Shinawatra) পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করল সেদেশের সাংবিধানিক আদালত। মঙ্গলবার সাংবিধানিক আদালত জানিয়েছে, পায়তংতার্নের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় তদন্ত চলাকালীন তাঁকে একেবারে পদ ছাড়তে হবে।

জানা গেছে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল শিনাওয়াত্রার (Paetongtarn Shinawatra) সঙ্গে কম্বোডিয়ার কম্বোডিয়ার সেনেটের রাষ্ট্রপতি হুন সেনের (Hun Sen) একটি ফোন কল ফাঁসের মাধ্যমে। যেখানে শিনাওয়াত্রা কথা বলার সময় হুন সেনকে ‘আঙ্কেল’ বলে সম্বোধন করেছেন ও সীমান্ত বিরোধ নিয়েও আলোচনা করেছেন। আর তারপর থেকেই থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক টানাপোড়েন বাড়তে থাকে। প্রসঙ্গত, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই সীমান্ত বিরোধ নিয়ে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল। সম্পর্ক একদম তলানিতে ঠেকে গত মাসে থাইল্যান্ডের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে কম্বোডিয়ার এক সেনা নিহত হলে। এরই মধ্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ও কম্বোডিয়ার সেনেটের রাষ্ট্রপতির এই ফোনালাপ আরও উত্তেজনার সৃষ্টি করেছিল। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই আদালত এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে।

২০২৩ সালে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন পদত্যাগ করেছেন। বর্তমানে কম্বোডিয়ার সেনেটের রাষ্ট্রপতি তিনি। কিন্তু তারপরেও সে দেশে তাঁর প্রভাব এখনো যথেষ্ট। অন্যদিকে, পায়তংতার্ন শিনাওয়াত্রা থাকসিন শিনাওয়াত্রার কন্যা এবং পেউ থাই পার্টির নেত্রী। তিনি গত বছর নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। তবে তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে বিতর্কিত। আরও পড়ুন :

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–