Wednesday, December 3, 2025

আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ শমীকের, দূরেই রইলেন দিলীপ

Date:

Share post:

আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করলেন দলেই মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বুধবারই স্থির হয়ে যায় বঙ্গ বিজেপির (BJP) পরবর্তী রাজ্য সভাপতির নাম। কারণ শমীক একাই মনোনয়ন জমা দেন। বৃহস্পতিবার, অনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder), বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari), এমনকী আরেক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা উপস্থিত থাকলেও ডাক পাননি আরেক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সুবক্তা শমীককেই যোগ্য মনে করেছে দল, সেই কারণেই দায়িত্ব দিয়েছে- মন্তব্য অভিমানী দিলীপের।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকেই দূরে ছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বুধবার সল্টলেকের বিজেপির দফতরে সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া ও স্ক্রুটিনি হয়। শুধু শমীকে মনোনয়নই জমা এবং গৃহীত হয়। সেখানে হাজির ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার ভিত্তিতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শমীক। বৃহস্পতিবার তাঁর হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিজেপির নিযুক্ত নির্বাচনী আধিকারিক রবিশঙ্কর প্রসাদ। সেখানে সুকান্ত, শুভেন্দু, রাহুল- সবাই উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না দিলীপ।

হাতে ডুগডুগি নিয়ে জনজাগরণে রাস্তায় হাঁটেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ। এবার রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা ছিল, পদ্মশিবির ফের দিলীপকেই রাজ্য সভাপতি করবে। কারণ, তাঁর আমলেই কিছুটা জয়ের মুখ বাংলায় দেখেছে বিজেপি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেটা হয়নি। নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক সম্পর্কে দিলীপের মত, “আমি যখন দলে আসি তখন রাজ্যের জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন শমীক। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন। দুটো পদ একসঙ্গে দেওয়া হয় না। তাই তখন প্রেসিডেন্ট করেনি দল। উনি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দলের মুখপাত্র। ভালো কথা বলেন। দল মনে করেছে উনি সংগঠন করতে পারবেন, তাই দায়িত্ব দিয়েছে।”

আনুষ্ঠানিক ভাবে শমীক দায়িত্বভার নেওয়ার দিন দিলীপ গেলেন না কেন? উত্তরে স্পষ্টবাদী দিলীপের গলায় অভিমানের সুর। জানালেন, ”এই অনুষ্ঠানে আমি যাচ্ছি না, কারণ, আমাকে আলাদা করে কোনও খবর দেওয়া হয়নি। আমি সভাপতি নির্বাচনের ভোটার নই। যাঁরা প্রদেশ পরিষদ সদস্য, তাঁরাই ভোটার। আজকের অনুষ্ঠানেও তাঁদের ডাকা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ডাক পেয়েছেন। আমার ওখানে যাওয়ার কথা নয়।”

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত গেরুয়া শিবিরে দলের এক অংশের দাবি, সাম্প্রতিক কালে দলীয় কোনও কর্মসূচিতে দিলীপকে ডাকা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইচ্ছা মেনেই নাকি এই সিদ্ধান্ত বলে মত অনেকের।
আরও খবরকয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ফের পাকিস্তানি সেলেবদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে নিষেধাজ্ঞা!

spot_img

Related articles

এসআইআর আতঙ্কে তুফানগঞ্জে আতঙ্কে আত্মঘাতী গৃহবধূ! হাওড়ায় অসুস্থ বিএলও

এসআইআর সংক্রান্ত চাপে একই দিনে দুটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল রাজ্যে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে আতঙ্কে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ, অন্যদিকে...

স্বাস্থ্যবন্ধু প্রকল্পে তিন সপ্তাহে পরিষেবা পেলেন এক লক্ষের বেশি মানুষ, শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় আরও এক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করল স্বাস্থ্যবন্ধু প্রকল্প। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই এই প্রকল্পের শিবিরগুলিতে চিকিৎসা...

বাংলার পুলিশের ডিএসপি পদে যোগ রিচা ঘোষের: নাম লেখালেন দীপ্তির পাশে

নিয়োগ পত্র আগেই পেয়েছিলেন। বুধবার পুলিশের উর্দি পরে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন রিচা ঘোষ। না, এটা ক্রিকেটের জার্সিতে উইকেট...

আদালতের রায়ে বহাল ৩২ হাজার প্রাথমিক নিয়োগ, হাইকোর্ট চত্বরে অকাল হোলিতে মাতলেন শিক্ষকরা

দীর্ঘ দু’ বছর ধরে লড়াই, অনিশ্চয়তা আর সামাজিক উপহাস—সবকিছু কাটিয়ে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা।...