Thursday, December 18, 2025

ভেঙে ফেলা বাড়িটি সত্যজিতের নয়! আজব দাবি বাংলাদেশি আধিকারিকের

Date:

Share post:

গত কয়েকদিন ধরেই ময়মনসিংহে ভেঙে ফেলা সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) পূর্বপুরুষের বাড়িটি নিয়ে দুই বাংলার মধ্যে চলছে বিতর্ক। এবার বাংলাদেশের (Bangladesh) উল্টো বক্তব্যে নতুন করে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগেই জানান হয়েছিল যে, বাড়ি ভাঙার কাজ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে এবং বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এবার ময়মনসিংহের জেলা শাসক (ডেপুটি কমিশনার) মোফিদুল আলম বুধবার জানিয়েছেন সরকারি নথি খতিয়ে দেখে প্রমাণিত হয়েছে ওই বাড়িটি শিশুকল্যাণ সংস্থার পুরনো অফিসের এবং কোনমতেই সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) পরিবারের সম্পত্তি নয়। স্থানীয় প্রবীণদের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখেই ভাঙার কাজ হচ্ছিল। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের বাড়ি ‘দুর্লভ হাউস’ এখনও অক্ষত রয়েছে। বলা হয়েছে দুর্লভ হাউসের বর্তমান মালিকের সঙ্গে কথা বলার পর জানা গিয়েছে তাঁরা রায় পরিবারের কাছ থেকেই বাড়িটি কিনেছেন এবং বৈধ নথি রয়েছে। যে বাড়িটি ভাঙা হচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ অন্য একটি বাড়ি। ভুলবশতঃ সেটিকে রায় পরিবারের ভিটে বাড়ি বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বহু বছর এই বাড়িটি বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাদেমির ময়মনসিংহ জেলার অফিস হিসাবে ব্যবহৃত হত। শিশু অ্যাকাদেমিই বাড়িটি ভেঙে বহুতল করার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাড়িটির সামনের অংশের প্রায় পুরোটাই ভাঙা হয়ে গিয়েছে তবে এই অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ হস্তক্ষেপ করায় আপাতত কাজ বন্ধ আছে। ময়মনসিংহ শিশু অ্যাকাদেমির জেলা শিশুবিষয়ক এক আধিকারিক জানিয়েছেন বাড়িটি এতটাই পুরোনো যে প্রায় অনেকটা অংশ ভেঙে পড়ছিল। সুরক্ষার কথা ভেবেই ২০০৭ থেকে শিশু অ্যাকাদেমি আর বাড়িটি ব্যবহার করত না। এরপর অবশেষে অনুমতি নিয়ে সেখানে বহুতল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের (Bangladesh) তরফে যদিও এই বিভ্রান্তিকর ঘটনাটিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং আশ্বস্ত করা হয়েছে যে রায়ের পৈতৃক সম্পত্তি সুরক্ষিত থাকবে। অন্যদিকে সত্যজিৎ রায়ের বাড়ি ভাঙার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরাসরি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তবে বাংলাদেশ জানিয়ে দেয় সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে ভাঙার ঘটনা নিয়ে দুই বাংলায় যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা ‘ভুল বোঝাবুঝি’। ভগ্নদশা হওয়ার ফলেই সুরক্ষার কথা ভেবে এই বাড়িটি ভাঙা শুরু হয়েছিল। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে নতুন করে সেখানে একটি অত্যাধুনিক মানের ভবন নির্মাণ করে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

spot_img

Related articles

নিউটাউনের ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধ্যার পর...

বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ: বিনিয়োগের বার্তা নিয়ে শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে শিল্প ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’। ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে...

২২ জানুয়ারি থেকে শুরু ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা, ভার্চুয়ালেও মিলবে মেলার স্বাদ

আর দেড় মাসের অপেক্ষা। আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। বইপ্রেমীদের জন্য এ...

যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা-কাণ্ডে শোকজের জবাব জমা তিন শীর্ষ কর্তার

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার ঘটনায় শোকজের জবাব জমা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, ক্রীড়া...