দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ‘ভালো ছেলে’ খোঁচার মোক্ষম জবাব দিলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব (Dilip Adhikari Dev)। বলেন, “আমি কাদা ছোড়াছুড়ি করি না। পছন্দও করি না। আমি জানি আমার দায়িত্ব কী। যারা ভোট দিয়েছেন তাঁরাও জানেন দেব কী করে, সেটাই আমার কাছে যথেষ্ট।” দেবের কথায়, “যতদিন না হচ্ছে ততদিন গাল খেতে হবে।“

রাজ্যের দীর্ঘ দাবির পরেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্য়ানের (Ghatal Master Plan) টাকা দেয়নি কেন্দ্র। এখন কেন্দ্রে বিজেপি সরকার। কিন্তু তারাও টাকা দেয়নি। আর সেই টাকা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আর সেই দলের নেতা হয়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে তৃণমূল সাংসদকে খোঁচা দেন দিলীপ। বলেন, “উনি ভালো ছেলে। কিন্তু নিষ্কর্মা ভালো ছেলে হয়ে লাভ কী? উনি প্রতিবার ভোটের সময় কথা দেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করে দেবে। কেন বারবার ঘাটালবাসীকে ধোঁকা দিচ্ছেন? কার চাপে দেব এখনও রাজনীতি করছে? এবার ইস্তফা দেওয়া উচিত। ও তো এবার দাঁড়াতেও চায়নি। জোর করে নেতৃত্ব ওকে প্রার্থী করেছে। দেব যদি বলে যে রাজনীতি করবে না, তাহলে তো অন্য চাপ। তৃণমূলের তরফে ওকে হুমকি দেওয়া হয়, সিনেমা বন্ধ করে দেবে, প্রোডাকশনে বাধা দেবে। আমি বলছি, দম থাকে তো বেরিয়ে এসো।”

এর মোক্ষম জবাব দেন দেব (Dev)। দিলীপের নাম না করে বলেন, “আমি কাদা ছোড়াছুড়ি করি না। পছন্দও করি না। আমি জানি আমার দায়িত্ব কী। যারা ভোট দিয়েছেন তাঁরাও জানেন দেব কী করে, সেটাই আমার কাছে যথেষ্ট।” তার পরেই তিনি বলেন, “অনেক পরিশ্রম করে প্রকল্প অনুমোদন করিয়েছি। আমি তো একমাত্র এমপি ছিলাম না ঘাটালে। আমার আগে বড় বড় নেতারা সেখানে দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু আমিই অনুমোদন করালাম।“ একই সঙ্গে দেব বলেন, “যতদিন না হচ্ছে ততদিন গাল খেতে হবে।“

আর জানীতি ছাড়া প্রসঙ্গে আগের মতোই দেব জানান, “আমি তো আর থাকতে চাইনি। রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলাম কিন্তু আমাকে আবার নিয়ে আসা হল। শর্ত দিয়েছিলাম, তাতেও দিদি হ্যাঁ বললেন। এরপর ২০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ৭০০ কোটি টাকার অনুমোদন হয়েছে। তাও আমাকে ট্রোল করা হয়। এগুলো শোনা আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। কিন্তু প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত তো অপেক্ষা করতে হবে। যতদিন না হবে ততদিন আমাকে গাল খেতে হবে।“
আরও খবর: সাতসকালে কাকদ্বীপে বাস- ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ১০, আশঙ্কাজনক ২

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–